বসন্তের আগমনে আগুনরাঙা শিমুলবাগান
Published: 14th, February 2025 GMT
‘বসন্ত আজ আসলো ধরায়, ফুল ফুটেছে বনে বনে...।’ বসন্তের ফুল শিমুল। বসন্তের আগমনে শিমুলগাছ যেন লালে লাল হয়ে আছে। আগুনরাঙা ফুলে ছেয়ে গেছে পুরো বাগান। ফুলের পাপড়ি ঘাসের জমিনে পড়ে যেন লাল কার্পেটে রূপ নিয়েছে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পশ্চিম পাড়ে মানিগাঁও এলাকায় এই শিমুলবাগানের অবস্থান। যাদুকাটা নদীর তীর ঘেঁষে থাকা এই বাগান এখন পর্যটকদের কাছে প্রিয় জায়গা। এখানে একই সঙ্গে হাওর, নদী, পাহাড়ের দেখা মেলে।
এই শিমুলবাগানে ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকেন অনেকে। খবর নেন এর-ওর কাছে। আবার কেউ কেউ অপেক্ষায় থাকেন পয়লা ফাল্গুনের। বাসন্তী সাজে সেজে ছুটে আসেন জেলার রূপের নদী যাদুকাটার তীরে থাকা নয়নাভিরাম এই শিমুলবাগানে। কেউ আসেন পরিবার–পরিজন নিয়ে। আবার কারও সঙ্গে থাকে প্রিয় মানুষ, কেউবা আবার একা এসে নিজেকেই খোঁজেন প্রকৃতির মধ্যে।
শীতের শেষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকেরা আসেন এই সময়। বাগানে ঘুরে বেড়ান। ছবি তোলেন। তরুণেরা দল বেঁধে গানে মাতেন। শাহ আবদুল করিম, হাছন রাজা, দুর্বিন শাহের গানের সুর ছড়িয়ে পড়ে বাগানজুড়ে। কেউ গাছের ছায়ায় বসে থাকেন; নিরিবিলি সময় কাটান। কেউ বাগানে ঝরে পড়া ফুল কুড়ান। ভালোবাসার গল্পে কাটে তাঁদের সময়।
শুধু বড়রা নন, শিশুরাও আসে শিমুলবাগানে। আনন্দে মাতে তারা। দৌড়াদৌড়ি, ঘোড়ায় চড়া, দোলনায় দুলে পাহাড় দেখায় সবাই আনন্দ পায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার শিমুলবাগানে বেড়াতে এসেছিলেন মোশারফ হোসেন। তিনি সিলেটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন বন্ধু। তরুণ মোশারফ বলছিলেন, ‘অপেক্ষায় ছিলাম, ফুল ফুটলেই আসব। দেখে খুবই ভালো লাগছে।’
শিমুলবাগান এখন পর্যটকদের কাছে পছন্দের জায়গা। পরিবার, বন্ধুসহ অনেকেই এখানে বেড়াতে আসেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বসন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারণ, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কারাদণ্ড
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলরত নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণ করার দায়ে রুবেল (৩০) নামে এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদীক। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রুবেল বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি মুদি দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করেন।
সৈকতের ফটোগ্রাফার আরিফ মিয়া বলেন, ‘‘রুবেল নারীদের গোসলের ভিডিও করছিলেন। প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিষয়টি দেখত পেয়ে তাকে আটক করি।’’
অপর ফটোগ্রাফার রাসেল বলেন, “রুবেলের মোবাইল চেক করে দেখি, অনেক ভিডিও। সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশকে খবর দেই। পরে তাদের কাছে সোপর্দ করি।’’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন সাদেক বলেন, “অনুমতি ছাড়া নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণের দায়ে রুবেলকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব