ধর্মপাশায় পরিত্যক্ত জমিতে চালকুমড়া চাষ, ফলনে খুশি চাষিরা
Published: 14th, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরের পরিত্যক্ত জমিতে আগাম জাতের চালকুমড়া চাষ করা হয়েছে। উপজেলার হলদির হাওরের ২২০ কাঠা ওই পরিত্যক্ত জমিতে কুমড়া চাষ করে ১২ জন চাষি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। মৌসুম শুরুর আগেই চালকুমড়া বাজারজাত করতে পারায় দামও মিলছে বেশি।
চাষিরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগাম চালকুমড়া চাষে তাঁদের দ্বিগুণ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হাওরের প্রধান ফসল ধান। এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৩১ হাজার ৫৪২ হেক্টর চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ হেক্টর জমি চার থেকে পাঁচ বছর আগেও পরিত্যক্ত ছিল। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে পরিত্যক্ত জমিতে সবজি, শর্ষে ও ভুট্টার আবাদ শুরু করেন চাষিরা। ৫০০ হেক্টর পরিত্যক্ত জমির মধ্যে ৩৫০ হেক্টর জমিতে সবজি, শর্ষে ও ভুট্টা চাষের আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলার হলদির হাওরে ৮০ হেক্টর পরিত্যক্ত জমি ছিল। এর মধ্যে ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, শর্ষে চাষের পাশাপাশি ৭ দশমিক ১২ হেক্টর (২২০ কাঠা) জমিতে প্রথমবারের মতো চালকুমড়া চাষ করা হয়েছে।
ধর্মপাশা হলদির হাওরের পরিত্যক্ত জমি থেকে চালকুমড়া তুলে বিক্রির জন্য তা খেতের পাশেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।