বিএসএফের থেকে ২ বাংলাদেশিকে ফেরত আনল বিজিবি
Published: 15th, February 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিজিবি জানায়, গত বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বেতনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৬৬/১-এস-এর বিপরীতে ভারতের কাদেরগঞ্জ ক্যাম্পের টহলদল দুই বাংলাদেশিকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, রানীশংকৈল উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামের দুলাল শীলের ছেলে বিকাশ শীল (২২) ও মদন নাথের ছেলে পূর্ণ নাথ (২৬)।
বিএসএফ জানায়, ওই সময় আরও তিনজন বাংলাদেশি পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেন। পরে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে এবং আটকদের ফেরত আনার জন্য সমন্বয় করে। বৃহস্পতিবার সীমান্ত পিলার ৩৬৬/২-এস-এর কাছে ভারতের মানিকখাড়ী এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
পরে বিজিবি আটক দুই ব্যক্তিকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হরিপুর থানায় সোপর্দ করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।