Risingbd:
2025-05-01@05:03:40 GMT

বাবা-মা হতে চলেছেন পরম-পিয়া

Published: 15th, February 2025 GMT

বাবা-মা হতে চলেছেন পরম-পিয়া

ভালোবাসা দিবসের রেশ রয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির বাতাসে ফাগুনের সুগন্ধ। এর মধ্যেই জানা গেলো বাবা-মা হতে চলেছেন টলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তী।

 ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ইনস্টাগ্রামে সুখবর দিলেন হবু মা-বাবা। স্থানীয় গণমাধ্যমকে পিয়া জানিয়েছেন, পিয়া এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি ভীষণ আনন্দিত। তবে একটু চিন্তাও করছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসে ভূমিষ্ঠ হবে সন্তান।

ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র পরের দিনই এমন একটি খবরে আনন্দে আত্মহারা অনুরাগীরা। কয়েকটি ছবি শেয়ার করে অন্যরকম ভাবেই খবরটি সমাজমাধ্যমে দিয়েছেন পিয়া। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, 'ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র উদযাপন খানিক দেরিতেই করছি। আমরা ব্যস্ত ছিলাম ১.

নিজেদের নিয়ে ২. আমাদের পোষ্য নীনাকে নিয়ে,৩. গত বছর এসেছে বাঘা (বিড়াল) ৪. ভাবী সন্তানের অপেক্ষায়। পিয়া এই পোস্ট করার পর থেকেই পরম-পিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই।

আরো পড়ুন:

চাচা, হেনা কোথায়...সংলাপ রচয়িতা বললেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ’

তিনিই এখন ভারতের সবচেয়ে বেশি আয় করা সংগীত পরিচালক

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের, ২৭ নভেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরম-পিয়া। পরমব্রত এবং পিয়ার সংসার যাপন প্রায় দেড় বছরের। 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ