কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে পাঁচ কৃষককে পিটিয়ে আহত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দ বকশী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন শনিবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি বিষয়টি প্রতিবাদ জানালে দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।

আহত পাঁচ কৃষক হলেন– কৃষ্ণানন্দ বকশী গ্রামের মো.

শামসুল, জাবেদ আলী, তাজুল ইসলাম, মো. রিপন ও কাশেম আলী।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ফুলবাড়ীর বারোমাসিয়া নদীর তীরে ৫০০ গজ অভ্যন্তরে সীমান্তের ৯৩০ সাব-পিলারে কাছে কয়েক কৃষক ক্ষেতে কাজ করছিলেন। ভারতের নারায়ণগঞ্জ-১৩৮ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গোড়কমণ্ডল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করা বাংলাদেশি কৃষকরা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে বিএসএফ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে বন্দুকের পেছনের অংশ দিয়ে কৃষকদের আঘাত করেন। এতে পাঁচজন আহত হন। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বিএসএফ সদস্যদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। কী কারণে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিলেন, তা জানা যায়নি।

মারধরের শিকার মো. শামসুল বলেন, ভারতের পাঁচ জওয়ান শূন্যরেখা পার হয়ে গ্রামে ঢুকে পড়েন। আমি জমিতে কাজ করছিলাম। তারা বলে, এখানে থাকা যাবে না, তোমরা চলে যাও। আমি বলি, আমার জমিতে আমি কাজ করব না কেন, আপনারা আপনাদের দেশে চলে যান। এর পর বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা মারধর করে।

স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, বিএসএফরা স্থানীয়দের মারধর করলে আমরা গ্রামবাসী একজোট হয়ে ধাওয়া দিই। এর পর তারা পালিয়ে যায়।

শনিবার গোড়কমণ্ডল বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিএসএফের মারধরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি শান্ত।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ্ মো. শাকিল আলম জানান, শনিবার দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে। ভবিষতে এমনটা ঘটবে না বলেও জানিয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ ক জ কর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ