ঢাকার ইসলামবাগে প্লাস্টিক ও পলিথিন কারখানায় আগুন
Published: 15th, February 2025 GMT
রাজধানীর ইসলামবাগের কামালবাগে গতকাল শনিবার বিকেলে প্লাস্টিক ও পলিথিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট সোয়া ১ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা জানান, দোতলা টিনশেডের নিচতলায় একাধিক কারখানা এবং দোতলায় লোকজন বাস করত। বিকাল ৩টা ১৭ মিনিটে আগুন লাগার পর প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হয়। আশপাশের ভবনের বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে নিরাপদে অবস্থান নেন। কারখানায় বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকদ্রব্য ছিল।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়ে তাদের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৩টা ২৫ মিনিটে। মোট আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বিকেল ৪টা ২৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে পলাশী ও হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট একসঙ্গে পাঠানো হয়। এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগা ভবনের নিচতলায় প্লাস্টিক ও পলিথিনের কারখানা ছিল। আশপাশে আছে আবাসিক ভবন। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি বলেন, কেউ বলছে কারখানা থেকে, কেউ বলছে আবাসিক ভবন থেকে আগুন লেগেছে। আসলে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে ইসলামবাগের পর রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একুশে টিভি (ইটিভি) ভবনের নিচ তলায় পেয়ালা রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাত ৮টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। আগুনের সূত্রপাতের পর পুরো ভবন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় ইটিভিতে থাকা লোকজন আতঙ্কে ছাদে ওঠে।
ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, ইটিভি ভবনের নিচ তলার পেয়ালা কফি হাউজে আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পৌনে ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ৮টা ৫৫ মিনিটে পুরোপুরি নির্বাপণ করা হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি। আগুনের সূত্রপাতের কারণ প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৩০ ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেটে অবৈধ ক্রাসার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। শনিবার (১৪ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সিলেট সফরকালে এ মেশিনের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেন।
ক্রাসার মেশিন হলো এক ধরনের যন্ত্র যা পাথর, আকরিক বা অন্যান্য উপকরণকে ছোট ছোট টুকরায় ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সোমবার (১৬ জুন) সিলেট শহরতলীর ধোপাগুল এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩০টি ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় ২৬টি বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়।
আরো পড়ুন:
নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
গ্রাহকদের জরুরি বার্তা দিল ডেসকো
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ধোপাগোলসহ আশপাশের এলাকায় কোনো ধরনের পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইআইএ) ও বৈধ অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু ক্রাসার মিল চলছিল। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল স্থানীয় পরিবেশ। পরিবেশ রক্ষার অংশ হিসাবে অভিযান চালিয়ে ৩০টি ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ২৬টি মিটার জব্দ করা হয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশূর রুবাইয়াত জানান, ধোপাগোলে বিদ্যুৎ বিভাগসহ সমন্বিত অভিযান হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের একাধিক টিম।
এদিকে, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (১৫ জুন) রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়েদ উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকারি কাজে বাধা দেয়া, উপদেষ্টাদের সড়ক অবরোধ ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে প্রধান করে ১৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বালু–পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। শনিবার (১৪ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গোয়াইনঘাটের বল্লাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।
শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেখান থেকে ফেরার পথে বল্লাঘাট এলাকায় তাঁদের গাড়িবহর আটকে বালু–পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা বন্ধ থাকা জাফলংসহ সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে স্লোগান দেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুই উপদেষ্টা জাফলং পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর ইজারা দেয়া হবে না। এরপরই কিছু ব্যক্তি বিক্ষোভ শুরু করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর উপদেষ্টারা গাড়িতে ওঠেন। ফেরার পথে বল্লাঘাট এলাকায় স্থানীয় বালু-পাথর ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ কয়েকশত মানুষ পাথর কোয়ারির ইজারা দেয়ার দাবিতে তাদের গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রাখেন তারা। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে উপদেষ্টারা সিলেটে চলে আসেন।
ঢাকা/নূর/বকুল