সিনেমার জন্য প্রযোজকের বিশেষ শর্ত, মুখ খুললেন অভিনেত্রী
Published: 16th, February 2025 GMT
নব্বই দশকের রূপালি পর্দার পরিচিত মুখ শিবা আকাশদীপ। সালমান-অক্ষয়সহ সেই সময়ের জনপ্রিয় আরও নায়কের বিপরীতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে নব্বই পরবর্তী সময়ে সেভাবে আর আলোচনায় আসতে দেখা যায়নি তাঁকে। অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও সাম্প্রতি বলিউডের পুরনো কথা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী।
১৯৯১ সালে সুনীল দত্তর পরিচালনায় ‘ইয়ে আগ কাব বুজেগি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিবা। এই সিনেমায় সুনীল দত্ত এবং রেখাও ছিলেন।
বিনোদন মাধ্যম পিঙ্কভিলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অতীতে অভিনেত্রীদের সঙ্গে হওয়া অবিচার নিয়ে মুখ খুলেছেন শিবা।
অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন যুগ বদলেছে। আমাদের সময় নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু ছিল না। তাদের প্রেমিক থাকা চলবে না, থাকলে কাজ পাওয়া খুব মুশকিলের ব্যাপার ছিল। তখন তো প্রযোজকরা শর্ত দিতেন, অভিনেত্রী হতে গেলে বিয়ে করা যাবে না। মা হওয়া তো দূরের প্রসঙ্গ।’
তিনি আরও বলেন, ‘নায়িকারা পর্দায় যে নায়কের সঙ্গে রোম্যান্স করছেন তা যেন আসল মনে হয়। যা নাকি বাস্তবে অন্য কারওর সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে হবে না। এমন সব অদ্ভূত দাবি করতেন প্রযোজকরা। তার মধ্যেও লড়াই করে অনেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাদের সাধুবাদ জানাই।’
২০২৩ সালে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল রণবীর সিং ও আলিয়া ভাট অভিনীত ‘রকি অউর রানি কী প্রেম কাহানি’। করণ জোহরের পরিচালিত এই সিনেমায় একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় ফের শিরোনামে আসেন শিবা। কারণ সিনেমার একটি দৃশ্যে তার গালে চুমু খেয়েছিলেন ৯০ বছরের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র! যে দৃশ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নতুন করে আবার পর্দায় আলোচিত হন শিবা আকাশদীপ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা