রাবির ৩০০ ছাত্রীকে বৃত্তি দেবে ব্র্যাক ব্যাংক
Published: 16th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিম্ন আয়ের পরিবারের ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এর আওতায় রাবির স্নাতক (সম্মান) প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আগত ১৫০ জন করে ৩০০ ছাত্রীকে মাসে ৫ হাজার টাকা হারে সর্বোচ্চ ২ বছর এই বৃত্তি প্রদান করবে ব্যাংকটি।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
‘ব্র্যাক ব্যাংক অপরাজেয় তারা স্কলারশিপ’ শীর্ষক এ বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ও ব্র্যাক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো.
বৃত্তির জন্য ছাত্রীদের উচ্চমাধ্যমিক বা সমপর্যায়ে জিপিএ ৫.০০ থাকতে হবে এবং বৃত্তি চলাকালে পরীক্ষায় কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.০০ পেতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মতিয়ার রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার, ব্র্যাক ব্যাংকের মানবসম্পদ ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ইকরাম কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত কর্মজীবনের পরিকল্পনা ও তার প্রস্তুতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এতে রাবি উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক, ব্র্যাক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা, মানবসম্পদ ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।