বিসিবি সভাপতি হওয়ার পর ফারুক আহমেদ বেশ কিছু কাজ এগিয়ে নিয়েছেন। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও আয়োজন করেছেন সাত দলের বিপিএল। দুর্বার রাজশাহীর পেমেন্ট ইস্যু এবং বিতর্কিত কিছু ঘটনা ছাড়া একাদশ বিপিএল প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিপিএলের টিকিট বিক্রি করে ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে বলে জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক। 

দেশের ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়নে সাবেক ক্রিকেটারদের পরামর্শও নিচ্ছেন তিনি। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ মতবিনিময় করবেন ফারুক। ১৫ জন সাবেক অধিনায়ক মতবিনিময়ে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

শফিকুল হক হিরা, রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, খালেদ মাহমুদ সুজন, খালেদ মাসুদ পাইলট, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবালরা উপস্থিত থাকতে পারেন বৈঠকে। নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফি বিন মুর্তজারা নিমন্ত্রণ পাননি। 

এই মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ফারুক বলেন, ‘ক্রিকেটের অগ্রগতি পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিতে সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভালো কিছু করতে হলে সবার কথা শুনতে হবে।’ সভা থেকে পাওয়া পরামর্শ বোর্ড পরিচালনায় কাজে লাগাতে চান তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সেন্ট মার্টিনে একটি ইলিশ বিক্রি হলো ৪ হাজার ৫০ টাকায়

কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মোহাম্মদ আলম নামের এক ট্রলারমালিকের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের একটি বড় ইলিশ। মাছটি বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০ টাকায়।

আজ সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্ট মার্টিন ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিম।

মো. আজিম জানান, সেন্ট মার্টিন দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সোলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আলমের মালিকানাধীন একটি ছোট ট্রলারে পাঁচজন মাঝিমল্লা আজ ভোরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে ‘আটবাইন’ নামের এলাকায় জাল ফেলেন। দুপুর ১২টার দিকে জাল তুললে ওই বড় ইলিশসহ ছয়টি ইলিশ মাছ পাওয়া যায়, যেগুলোর ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম করে।

বেলা দুইটার দিকে ট্রলারটি সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছালে বড় ইলিশ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন জেটিতে ভিড় করেন মাছটি দেখতে।

ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে গিয়ে এত বড় ইলিশ পেয়ে তিনি খুবই খুশি। প্রথমে প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা দর হাঁকানো হলেও পরে স্থানীয় ইউরো বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক জিয়াউল হক প্রতি কেজি ১ হাজার ৭৫০ টাকা দরে মাছটি ৪ হাজার ৫০ টাকায় কিনে নেন।

মোহাম্মদ আলম আরও জানান, অবশিষ্ট ছয়টি ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা দরে মোট ৫ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে সাতটি মাছ বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৫০ টাকা।

মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘এক বছর আগেও এক মণ ইলিশ বিক্রি করে এত টাকা পাওয়া যায়নি।’

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সাগরে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই জেলেরা মাছ ধরতে বের হচ্ছেন। তবে সাগর এখনো কিছুটা উত্তাল থাকায় তাঁরা দ্বীপের আশপাশে মাছ ধরছেন। অনেকে খালি হাতে ফিরলেও মোহাম্মদ আলমের এবার ভাগ্য খুলে গেছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে সাতটি ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। সরকারনির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় এখন জেলেদের জালে নানা প্রজাতির মাছ উঠছে। এতে জেলে পরিবারগুলো লাভবান হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ