এত দিন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’ অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্য ও আর্থিক সেবা দিত মেটলাইফ বাংলাদেশ। এখন অ্যাপটির পরিসর আরও বড় করেছে কোম্পানিটি। এর ফলে অ্যান্ড্রয়েডের পাশাপাশি এখন আইওএস ও ওয়েব পোর্টালেও অ্যাপটির সেবা নেওয়া যাবে।

আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে মেটলাইফের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এ সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেটলাইফ এশিয়ার প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সঞ্জীব কাপুর ও মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ প্রমুখ।

মেটলাইফ জানিয়েছে, বর্তমানে আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড ও ওয়েব—এই তিন ডিজিটাল মাধ্যমেই ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’ পরিষেবাটি পাওয়া যাবে। ফলে ইন্টারনেট সংযুক্ত রয়েছে এমন যেকোনো স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটার ব্যবহারকারী ব্যক্তি আরও সহজে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সুরক্ষা পাবেন। ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’ অ্যাপটি একসময় থ্রিসিক্সটি হেলথ অ্যাপ নামে পরিচিত ছিল।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’ অ্যাপটি প্লে স্টোর থেকে ইতিমধ্যে ১৩ লাখের বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। অ্যাপটি যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ফলে ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’ একাধিক প্ল্যাটফর্মে চলে আসায় এর মাধ্যমে আরও বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে সেবা পৌঁছানো যাবে।

ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে দিন–রাত ২৪ ঘণ্টা বিনা মূল্যে টেলি-ডাক্তারের পরামর্শ, অনলাইনে ওষুধ কেনা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং, বিভিন্ন ছাড়ের সুবিধা, ফ্রি হেলথ অ্যাসেসমেন্ট (যেমন বিএমআই ক্যালকুলেটর, কার্ডিও বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি নিরূপণ) সুবিধা নিতে পারবেন। এই সেবা মেটলাইফের গ্রাহক না হলেও নেওয়া যাবে। পাশাপাশি থাকবে আর্থিক অগ্রাধিকার বিশ্লেষণ করার সুযোগ। এ ছাড়া সেবাটির মাধ্যমে মেটলাইফের উপযুক্ত আর্থিক সুরক্ষা সমাধানও বাছাই করে নিতে পারবেন গ্রাহকেরা।

মেটলাইফের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে জটিল রোগ ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার হার বেড়েছে। স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়ও ক্রমে বাড়ছে। ফলে মানসম্মত চিকিৎসাসেবার সহজলভ্যতা এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দিক বিবেচনায় ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে সহজ ও সাশ্রয়ী করার মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রায় বাস্তবিক পরিবর্তন আনতে ‘ওয়ান বাই মেটলাইফ’ অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মেটলাইফ এশিয়ার প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সঞ্জীব কাপুর বলেন, বাংলাদেশ মেটলাইফের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার। মেটলাইফ সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে স্বাস্থ্য ও আর্থিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিতে সহায়তা করছে। দেশের ডিজিটাল মাধ্যমগুলো মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সেবার সুযোগ সম্প্রসারিত করছে। এ কারণে “ওয়ান বাই মেটলাইফ” সেবা এখন দেশের আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বিমা খাতকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানের খাতগুলোয় বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। “ওয়ান বাই মেটলাইফ” অ্যাপটি সেই প্রতিশ্রুতির উদাহরণ। এই সেবা মানুষকে আরও সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপন করতে সহায়তা করছে।’

বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্যক্তি ও ৯ শতাধিক করপোরেট গ্রাহককে বিমা সেবা দিচ্ছে মেটলাইফ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ও আর থ ক আর থ ক স ব যবহ র আরও ব

এছাড়াও পড়ুন:

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।

শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা, আসামি ১৫৯
  • জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে বাধা: ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক ও ১৯ সংগঠনের নিন্দা
  • আপেল মাহমুদ অথবা রবিঠাকুরের কাদম্বিনীর গল্প
  • বালু ব্যবসার নামে প্রতারণা কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা
  • জাফলংয়ের পাথর কোয়ারিতে এখনও রাজনৈতিক ছায়া
  • ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন জামায়াতের আমিরের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
  • কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা