বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া হলো না শাকিবের
Published: 17th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল এলাকার ১৩ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শাকিব। বাবা আকবর মন্ডল বাড়ির পাশের পান বরজে কাজ করছিল। বাড়ি থেকে বাবার দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছিল শাকিব। পথিমধ্যে ইটবোঝাই ট্রলির নিচে চাপা পড়ে শাকিব প্রাণ হারায়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল ইট ভাটার সন্নিকটে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর শাকিব ওই এলাকার আকবর মন্ডলের ছেলে এবং সলিমপুর মডেল স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাড়ি থেকে মাঠে বাবার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছিল শাকিব। পথিমধ্যে কৈপাল ইটভাটা থেকে ইট নিয়ে যাওয়ার সময় স্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি তাকে চাপা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
সাভারে বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সামসুল আরেফিন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শাকিব মারা যায়।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন দ লতপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সরাইলে জমিজমার বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার পাকশিমুল বাজারে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পাকশিমুল গ্রামের নুরুল আমীন ও আকবর মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাজারের একাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকশিমুল বাজারের ২০ শতাংশ জমির দখল নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে নুরুল আমীনের লোকজনের সঙ্গে আকবর মিয়ার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। দুই মাস ধরে বিরোধ আরও বেড়ে যায়। এর জেরে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে সরাইল–অরুয়াইল সড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষ শুরু হলে বাজারের দোকানপাট ও সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়।
নুরুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি আমাদের কেনা জায়গা। আকবর মিয়ার লোকজন অন্যায়ভাবে আমাদের জমি দখলে নিতে চায়। তারা আজ আমাদের ওপর দা-বল্লম নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের লোকজন আত্মরক্ষার জন্য তাদের প্রতিহত করেছে। আমি চোখে আঘাত পেয়েছি। আমার দুই ভাই বল্লমের আঘাত পেয়েছে। গুরুতর আহত আমাদের আটজনকে জেলা সদরে চিকিৎসা দিচ্ছি।’
আকবর মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল আমীন ভূমি অফিসে চাকরি করেন। তিনি প্রতারণা করে জায়গাটি দখলে নিতে চান। তাঁর কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। আজ ওই জায়গা দখলে নিতে গেলে তাঁদের লোকজন বাধা দেন এবং তাঁর (আকবর) লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে নাঈম মিয়া (৩০) নামের এক যুবকসহ আহত সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।