সুযোগসন্ধানীরা যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 17th, February 2025 GMT
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে। সুযোগসন্ধানীরা যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নজরদারি বাড়াতে হবে।
আজ সোমবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন সাজ্জাত আলী। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনে জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত এ সভার আয়োজন করা হয়।
সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের মতামত ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ বছর গাছে পানি দিয়েছে বিএনপি, ফল খেয়েছেন আপনারা: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, কিছু কিছু ছেলে বলে ১৭ বছর আপনারা কী করেছেন? আরে ১৭ বছর আমরা গাছের গোড়ায় পানি ঢেলে তা নরম করেছি। সেই গাছের আগায় বসে আপনারা এখন ফল খাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিকে শুনতে হয় ১৭ বছরে কোনো কিছুই করে নাই। কেউ কি বলতে পারবেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেলে যায়নি? এমনকি তারেক রহমান পর্যন্ত জেলে ছিল। আশ্চর্য হতে হয় কিছু কিছু ছেলে বলে ১৭ বছর বিএনপি কী করছে। এটা যারা বলে তারা মিথ্যার সাগরে বসবাস করে। তারা বিএনপিকে ক্রেডিট (কৃতিত্ব) দিতে চায় না।
মির্জা আব্বাস বলেন, একা একা ক্রেডিট নিতে গিয়ে দেশটাকে ধ্বংস করবেন না। সামনে দেশের দুর্দিন মারাত্মকভাবে এগিয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছি কি না, একটু খেয়াল রাখা দরকার। আমি যা বলেছি, আবার বলছি ফ্যাসিস্ট তাড়াতে গিয়ে আমরা আবার ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছি কি না, সেটা খেয়াল রাখবেন। আমরা বলতে কেবল বিএনপির কথা বলি নাই। সবার কথা বলছি আমি।’
অনৈক্য দেশটাকে শেষ করে দেবে—এমনটি উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, একেক জন একেক কথা বলছে, কেউ কারও কথা মানছে না।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, মানবিক করিডর দিতে গিয়ে পৃথিবীর বহু দেশ ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে।
এই সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।