বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় জেলেকে সাগরে নিক্ষেপ, আটক ৬
Published: 18th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার প্রতিবাদ করায় রামদাশ (৩২) নামের এক জেলেকে সাগরে নিক্ষেপ করেছে বালু উত্তোলনকারীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ঘটনায় অপর এক জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকার সমুদ্র উপকূলে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে, হাতিয়া থেকে অপহৃত জেলেকে উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। তবে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে দুই ভাই রামদাশ ও লিটন দাশ নৌকা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান। সমুদ্র থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে তাদের জাল ছিঁড়ে যায়। তারা দুই ভাই বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের কাছে প্রতিবাদ করতে যান। এসময় ড্রেজার থেকে রামদাশকে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। লিটন দাশকে অপহরণ করে বাল্কহেডে করে নিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারীরা।
আরো পড়ুন:
জাতীয় সংগীত অবমাননা, নেতিবাচক ভিডিও প্রচার করায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়ি জেলা আ.
কুমিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওয়ালিউদ্দিন বলেন, “ঘটনাটি জানার পরপরই নৌ-পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বিভিন্ন স্থানে বেতার বার্তা পাঠানো হয়। পরবর্তীতে হাতিয়া থানা হাট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহরণ হওয়া লিটন দাশকে উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে নাবিল ফারহান নামের একটি বাল্কহেড। আটক করা হয়েছে ছয়জনকে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক অপহরণ ব দ কর
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।