নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে অপহৃত এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১১। এসময় অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করা করে তারা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নোয়াখালী মতিপুর গ্রাম থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

শবে বরাতের রাতে আতশবাজি-পটকা ফোটালে ব্যবস্থা

ঢাকা থেকে নিখোঁজ কিশোরী সুবা নওগাঁয় উদ্ধার 

গ্রেপ্তার আবুল হোসেন হৃদয় (২৪) সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মতিপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

র‍্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আসামি আবুল হোসেন হৃদয় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। হৃদয় ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেম নিবেদন করাসহ বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মায়ের সঙ্গে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে হৃদয় ও তার সহযোগিরা একটি কালো রঙের হাইস মাইক্রোবাসে করে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি হস্তান্তর হয়। র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর অভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মতিপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেপ্তার ও অপহৃতকে উদ্ধার করে।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “মামলা দায়েরের পর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় অপহৃতকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। অপহরণের শিকার ভুক্তভোগী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেবেন এবং আসামিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।”  

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ য ব ১১ অপহ ত

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার