ছোট পর্দার অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি ফেসবুক ফ্যান পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ২.৭ মিলিয়ন। পেজটিতে মূলত নিজের ফটোশুট করা ছবি, নাটকের স্থিরচিত্র ও নাটকের প্রমো প্রকাশ করে থাকেন। হুট করে এই পেজে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দেন অভিনেত্রী। জানান  তার নানাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এলাকায় মাইকিং করেও নাকি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তার।

ফেসবুক এই পোস্ট করলে তা অনুরাগীরা শেয়ার করতে থাকেন। যে যার মত খোঁজ করতে থাকেন হিমির নানাকে। অবশেষে খোঁজ মিলেছে মিমির নানার। সোমবার মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তার নানাকে পাওয়া গেছে। 
এক ফেসবুক পোস্টে হিমি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর রহমতে আমার নানাকে পাওয়া গেছে।’

এর আগে অভিনেত্রী জানান, সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জ পুরাবাজার ঢালিকান্দি থেকে তার নানা রহমত উল্লাহ হারিয়ে গেছেন। ফেসবুকে হিমি লিখেছিলেন, হারানো বিজ্ঞপ্তি। আমার নানাকে আজ (সোমবার) সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওনার ভুলে যাওয়ার সমস্যা আছে। মুন্সীগঞ্জ পুরাবাজার ঢালিকান্দি থেকে হারিয়েছেন তিনি। 

ফেসবুকে নিখোঁজ খবরটি দেখার পর সর্বস্তরের মানুষ সেটি শেয়ার করেন, যার কারণে অভিনেত্রী তার নানাকে সহজেই খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান হিমি। এর জন্য সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেন তিনি।

হিমি লিখেছেন, ‘নাজমুল হোসেন আকাশ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট দেখে যোগাযোগ করার জন্য। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই সাহায্য করার জন্য।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ সব ক স মব র

এছাড়াও পড়ুন:

ফেলনা জিনিসের পণ্য রপ্তানি করে সাফল্য রহমতুল ইসলামের

কয়েক বছর আগেও পেঁপেগাছের ডালপালা বা নল ছিল ফেলনা। কাঁচা বা পাকা পেঁপে সংগ্রহের পর ছেঁটে দেওয়া ডালপালা পড়ে থাকত বাগানে। ফেলে দেওয়া এই ডাল এখন মূল্যবান রপ্তানি পণ্য। শুধু পেঁপের নলই নয়, আমগাছ ও নিমগাছের ফেলে দেওয়া চিকন ডাল, পাটচুন ঘাস, নীলকণ্ঠ ফুলের মতো ফেলনা জিনিস দিয়ে তৈরি হচ্ছে পোষা প্রাণীর খাবার ও খেলনা। এসব বিশেষায়িত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রাও।

ফেলনা জিনিসকে রপ্তানি পণ্য বানানোর পথ দেখিয়েছেন দেশেরই একজন উদ্যোক্তা। এই উদ্যোক্তা হলেন রহমতুল ইসলাম। পোষা প্রাণীর খাবার ও খেলনা তৈরির জন্য মাগুরার প্রত্যন্ত গ্রাম জাগলায় কারখানা গড়ে তুলেছেন তিনি। সেখানে এসব পণ্য তৈরি করছেন গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত নারীরা। বোল্ড পার্টনারস লিমিটেড নামের এই কারখানায় প্রত্যক্ষ–পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫০০ জনের।

গ্রামের এই ব্যতিক্রমী কারখানা দেখতে নিয়মিতই আসছেন বিদেশি ক্রেতারা। সংখ্যা কত হবে? রহমতুল ইসলাম জানালেন, গত আট বছরে কারখানা দেখতে আসা বিদেশি প্রতিনিধিদলের সংখ্যা চার শ জনের কম হবে না। মুঠোফোনে কথা বলার সময় তিনি জানালেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে একটি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল এখন তাঁর কারখানা ঘুরে দেখছে।

যেভাবে শুরু

মাগুরার সন্তান রহমতুল ইসলাম উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা শুরু করেন। একসময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপানে থিতু হন। তবে নিজের এলাকায় ব্যতিক্রমী কিছু করার তাড়না থেকে যায়। শুরুতে পোষা প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা থেকে প্রাণীর খাবার ও খেলনা তৈরির চিন্তা মাথায় আসে। এরপর দেশে ফিরে ২০১৮ সালে মাগুরার জাগলা গ্রামে চার–পাঁচজন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন। পোষা প্রাণীর দুই ধরনের খেলনা তৈরির মাধ্যমে শুরু হয় কারখানার কর্মযজ্ঞ। ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে জাপানে প্রথমবারের মতো তিন হাজার মার্কিন ডলারের পোষা প্রাণীর খেলনা রপ্তানি করে প্রতিষ্ঠানটি।

চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরে ধীরে রপ্তানিও বাড়তে থাকে। প্রয়োজন পড়ে নতুন কর্মীর। কিন্ত তাঁদের দক্ষ করে তোলার জন্য দরকার প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয় কারখানায়। কর্মী হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয় সুবিধাবঞ্চিত নারীদের। কর্মযজ্ঞ বৃদ্ধির পর জাপান ও সিঙ্গাপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করে এই কারখানায়। প্রায় ২০ একর জমিতে কারখানার পাশাপাশি খাবার ও খেলনা তৈরির কাঁচামালের জন্য ঘাস ও গাছ রোপণ করেন তিনি। চাহিদা পূরণ না হওয়ায় এখন কাঁচামাল সরবরাহের জন্য প্রচারণাও শুরু করেছেন। ফেলনা জিনিস এনে বিক্রি করলেই নগদ টাকা দেওয়া হয়। এমন উদ্যোগে গ্রামের লোকজন ফেলনা জিনিস কুড়িয়ে বিক্রি করতে শুরু করেন কারখানায়। এমন সরবরাহকারীর সংখ্যাও এখন প্রায় ১০০।

পেঁপের নল, গাছের চিকন ডাল ও নানা রকমের ঘাস থেকে পোষা প্রাণির খাবার ও খেলনা তৈরি করছে মাগুরার বোল্ড পার্টনারস লিমিটেড। এসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেলনা জিনিসের পণ্য রপ্তানি করে সাফল্য রহমতুল ইসলামের