ফেসবুকে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নানাকে খুঁজে পেলেন অভিনেত্রী
Published: 18th, February 2025 GMT
ছোট পর্দার অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি ফেসবুক ফ্যান পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ২.৭ মিলিয়ন। পেজটিতে মূলত নিজের ফটোশুট করা ছবি, নাটকের স্থিরচিত্র ও নাটকের প্রমো প্রকাশ করে থাকেন। হুট করে এই পেজে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দেন অভিনেত্রী। জানান তার নানাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এলাকায় মাইকিং করেও নাকি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তার।
ফেসবুক এই পোস্ট করলে তা অনুরাগীরা শেয়ার করতে থাকেন। যে যার মত খোঁজ করতে থাকেন হিমির নানাকে। অবশেষে খোঁজ মিলেছে মিমির নানার। সোমবার মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তার নানাকে পাওয়া গেছে।
এক ফেসবুক পোস্টে হিমি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর রহমতে আমার নানাকে পাওয়া গেছে।’
এর আগে অভিনেত্রী জানান, সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জ পুরাবাজার ঢালিকান্দি থেকে তার নানা রহমত উল্লাহ হারিয়ে গেছেন। ফেসবুকে হিমি লিখেছিলেন, হারানো বিজ্ঞপ্তি। আমার নানাকে আজ (সোমবার) সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওনার ভুলে যাওয়ার সমস্যা আছে। মুন্সীগঞ্জ পুরাবাজার ঢালিকান্দি থেকে হারিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে নিখোঁজ খবরটি দেখার পর সর্বস্তরের মানুষ সেটি শেয়ার করেন, যার কারণে অভিনেত্রী তার নানাকে সহজেই খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান হিমি। এর জন্য সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেন তিনি।
হিমি লিখেছেন, ‘নাজমুল হোসেন আকাশ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট দেখে যোগাযোগ করার জন্য। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই সাহায্য করার জন্য।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দরুদ কেন পড়ব
নবীজির (সা.) প্রতি দরুদ পাঠের উপকারিতা অনেক। সাধারণত প্রতিদান হিসাবে একবার দরুদ পাঠ করলে দশটি রহমত, দশটি পাপ মাফ এবং বেহেশতে দশ স্তরের মর্যাদার কথা জানা যায়। এ ছাড়াও দরুদ পাঠের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা সাধারণত খুব একটা আলোচনা করা হয় না।
প্রথমত, দরুদ পড়া আল্লাহর হুকুম। আল্লাহর হুকুম পালন করলে তিনি খুশি হন এবং তার নৈকট্য অর্জন হয়। দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ রাসুলের ওপর ‘সালাত’ পড়েন। ইমানদারগণ, তোমরাও তার নামে দরুদ পড়ো এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও। (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)
দ্বিতীয়ত, দরুদ পড়া আমাদের ওপর নবীজির (সা.) একটি হক। দরুদ পড়লে তাঁর হক আদায় হয়। ইবনে আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সেই ব্যক্তিকে যথাযথ প্রতিদান দিতে, যিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। যদি আমরা তাতে অপারগ হই, তবে যেন অন্তত দোয়া করি। আল্লাহ জানেন, আমরা রাসুলের (সা.) অনুগ্রহের প্রতিদান দিতে অপারগ। তাই তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন তার প্রতি দরুদ পাঠের। (ইমাম কাসতালানি, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩/৩২২)
আরও পড়ুন‘আত-তাহিয়্যাতু’র মর্মবাণী কী১১ এপ্রিল ২০২৫তৃতীয়ত, নবীজির (সা.) প্রতি দরুদ পাঠের মাধ্যমে তাঁর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন তাঁর ওপর রহমত করেন। আর দোয়া একটি ইবাদত। নু’মান ইবনে বাশির (রা.) বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, ‘দোয়া হলো ইবাদত। তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, ‘তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি কবুল করব’ (সুরা গাফির: ৬০)।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,৪৬৯)
সুতরাং যখন আমরা বারবার দরুদ পড়ব, তখন প্রকারান্তরে আমরা ইবাদতের মধ্যে থাকব।
চতুর্থত, দরুদ পাঠের সওয়াব আল্লাহর কাছে জমা থাকে। যেমন, আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তাকে দশবার রহমত করবেন।’ এই ‘রহমত’ দ্বারা উদ্দেশ্য কেবল পার্থিব নয়, বরং পরকালের কঠিন সময়ে আল্লাহর রহমতের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।
পঞ্চমত, দরুদ পাঠ করা আল্লাহর পক্ষ হতে মুমিনদের জন্যে একটি সম্মান। সাইয়েদ কুতুব (রহ.) বলেছেন, ‘আল্লাহ মুমিনদের দুরুদকে তার দুরুদের সঙ্গে এবং তাদের সালামকে তার সালামের সঙ্গে মিলিয়ে নেন।’ (সুরা আহজাবের ৫৬ নম্বর আয়াতের তাফসির, তাফসিরে ফি জিলালিল কুরআন)
আরও পড়ুননামাজ: দাসের মহিমা০৪ মার্চ ২০২৫