ইউনেসকোর আমন্ত্রণে প্যারিসে বাংলাদেশের শিল্পীরা
Published: 18th, February 2025 GMT
প্যারিসে ইউনেসকো সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গাইবেন বাংলাদেশের কয়েকজন সংগীতশিল্পী। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ বাংলাদেশি শিল্পীদের এই পরিবেশনা।
১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতিসংঘের সদস্যদেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। এ বছর দিবসটির রজতজয়ন্তী।
এ উপলক্ষে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেসকোর সদর দপ্তর কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে। অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন। এ ছাড়া সদস্যদেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
প্যারিসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে যাত্রা করবেন ইসলাম উদ্দিন পালাকার, ‘কথা ক’খ্যাত র্যাপার সেজান, শূন্য ব্যান্ডের এমিল ও নারী ব্যান্ড এফ মাইনর, পারশা মাহজাবীন, টুনটুন বাউল, জালাল, মিথুন চক্র ও জাহিদ নীরব।
এই আয়োজনে জুলাই মাতানো সেজানের ‘কথা ক’ গানের সঙ্গে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের একটি গানের মিশ্রণে গাইবেন ইসলাম উদ্দিন পালাকার। টুনটুন বাউলের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে লালনগীতি ‘জাত গেল’ গাইবেন পারশা মাহজাবীন।
শূন্য ব্যান্ডের এমিল শোনাবেন ‘শোনো মহাজন’ গানটি। নাগরী, গারো, চাকমা ও বাংলা ভাষায় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গাইবে এফ মাইনর ব্যান্ডের ভোকাল পিংকি চিরান ও পারশা মাহজাবীন। পাশাপাশি ইসলাম উদ্দিনের পরিবেশনায় থাকবে বিখ্যাত পালা ‘পাষাণ মনরে আমার’। পুরো আয়োজনের নির্দেশনা দেবেন নির্মাতা তানিম নূর ও সংগীত পরিচালনায় থাকবেন জাহিদ নীরব। লেখক-গবেষক বদরুদ্দীন উমর ও ভাষাসৈনিক তাহমিনা সালেহ্কে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হবে। তথ্যচিত্রটির নির্দেশনা দিয়েছে তানিম নূর। আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি