ঢাকার নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর সালেহীন ইমনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে রাজশাহীর সারদার পুলিশ একাডেমি থেকে আটক করে। পরের দিন সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আমজাদ হোসেন তালুকদার। তবে মূল নথি না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়।

এদিন, শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনেরই রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ২০১০ সালে পুলিশে যোগ দেন তানভীর সালেহীন। তিনি ২০১৬ সালে আইজিপি ব্যাজ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পান।

২০২২ সালে তানভীর সালেহীন এসপি হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর তাকে ডিএমপির উপকমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) হিসেবে পদায়ন করা হয়। সম্প্রতি সারদায় প্রশিক্ষণরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের তার স্বাক্ষরেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল। একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে তিনি তাদের এই শোকজ করছিলেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো

এশিয়া কাপে গতকাল পাকিস্তান-সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচটা শুরু হয়েছিল নাটকীয়তা দিয়ে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হাত না মেলানো বিতর্কে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিল পাকিস্তান।

পাইক্রফটকে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব থেকে না সরালে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি না খেলার কড়া বার্তাও দিয়েছিল পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত পাইক্রফট ক্ষমা চাওয়ার পর পাকিস্তান দল মাঠে নেমেছে, তবে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা দেরিতে।

ম্যাচ রেফারিকে সরাতে না পারলেও মাঠের আম্পায়ারকে ঠিকই ‘সরিয়ে দিয়েছে’ পাকিস্তান। পাকিস্তান-আরব আমিরাত ম্যাচ চলাকালীন অন ফিল্ড আম্পায়ার রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন চতুর্থ আম্পায়ার বাংলাদেশের গাজী সোহেল। পল্লিয়াগুরুগে মাঠ ছাড়েন চোট পেয়ে। পাকিস্তানের উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিসের থ্রো তাঁর মাথায় লেগেছিল।

আম্পায়ারের খোঁজ নিচ্ছেন সাইম, হারিস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ