সাড়ে ৯ কেজি গাঁজাসহ এএসআই গ্রেপ্তার
Published: 19th, February 2025 GMT
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাড়ে ৯ কেজি গাঁজাসহ এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আনিসুর রহমান (৪০) পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে পলাশবাড়ী থানায় কর্মরত। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার চরখাটা গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা মোড় থেকে আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোবিন্দগঞ্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মানিক রানা ফোর্সসহ ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ চারমাথা মোড়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সামনে অভিযান চালিয়ে পলাশবাড়ী থেকে বগুড়াগামী একটি টিভিএস অ্যাপাচি ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো ল-৪৯-৪৯১৮) তল্লাশি করে। এ সময় আনিসুর রহমানের সঙ্গে থাকা একটি কালো কাপড়ের ব্যাগ থেকে ৯ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। সেই সাথে গাঁজা পরিবহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গতকাল রাতেই মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে (যার মামলা নং- জিআর ২৩/২৫)। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা বলেন, মাদকসহ গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা