গাইবান্ধায় গাঁজাসহ পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
Published: 19th, February 2025 GMT
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ৯ কেজি গাঁজাসহ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শকের (এএআই) আনিসুর রহমান (৪০) লালমনিরহাট সদর উপজেলার চরখাটা গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে। তিনি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানায় কর্মরত।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোবিন্দগঞ্জ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক রানা ফোর্সসহ ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ চারমাথা মোড়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সামনে অভিযান চালায়। সেখানে পলাশবাড়ী থেকে বগুড়াগামী মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো ল-৪৯-৪৯১৮) তল্লাশি করে। এ সময় আনিসুর রহমানের সঙ্গে থাকা কালো কাপড়ের ব্যাগ থেকে ৯ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে ২ স্কুলছাত্রের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় জেলেকে সাগরে নিক্ষেপ, আটক ৬
আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে রাতেই মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা জানান, মাদকসহ গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
ঢাকা/মাসুম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ব ন দগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিহত
নরসিংদীর রায়পুরায় তিতাস কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মো. রওনক (১৭) নামের এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রায়পুরার পলাশতলী ইউনিয়নের আশারামপুর এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
নিহত মো. রওনক রায়পুরা সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামের মইনুল হোসেনের ছেলে।
রেলওয়ে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত ব্যক্তির স্বজন সূত্র জানায়, মুঠোফোনের ব্যাটারি মেরামত করতে গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নরসিংদী শহরের উদ্দেশে রওনা হয় রওনক। বেলা সাড়ে তিনটায় মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী তিতাস কমিউটারের ছাদে চেপে বসে। যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি আবার যাত্রা শুরুর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যায় রওনক। রেললাইনের পাথরে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁর লাশ রেললাইন থেকে সরিয়ে আনে ও ঘটনাটি নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। খবর পেয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। এরই মধ্যে তাঁর স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।