ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে এক ব্যক্তির অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় কলেজছাত্র মাসুদ হাসান রনজুকে খুন করা হয়। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক হুমায়ুন কবীর।

মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। তিনি জানান, এক গৃহবধূর সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ওই গৃহবধূর মেয়েকে পড়াতেন কলেজছাত্র রনজু। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ হুমায়ুনকে জানান, তাদের সম্পর্কের বিষয়টি রনজু জেনে গেছে। ওকে মেরে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। রনজুকে হত্যা করতে পারলেই তার সঙ্গে কথা বলবে– হুমায়ুনকে এমন শর্ত দেনে রনজুর ছাত্রীর মা। ওই গৃহবধূর কথা মতো গত রোববার সকালে রনজুকে ভুট্টা খেতে সেচ দেওয়ার কথা বলে মাঠে ডেকে নেন হুমায়ুন। পরে রনজুকে একা পেয়ে পেছন থেকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন রনজুর বাবা আজিজুল মীর। 

ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সোমবার বিকেলে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ওই ভুট্টা খেতে সেচ দেওয়ার শ্যালো মেশিনের মালিক হুমায়ুনকে আটক করে। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রনজুকে হত্যার কথা স্বীকার করের হুমায়ুন। একই দিন সন্ধ্যায় হুমায়ুন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে ওই গৃহবধূকে মামলার আসামি করা হয়েছে। 

গত রোববার রাত ৮টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার বদনপুর গ্রামের একটি ভুট্টা খেত থেকে রনজুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রনজ ক

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন