ধ্বংসস্তুপে সেঞ্চুরির ফুল ফোটালেন তাওহীদ, জাকেরের লড়াই ও শামির রে
Published: 20th, February 2025 GMT
ভাগ্যিস রোহিত শর্মা ক্যাচটা মিস করেছিলেন! নয়তো স্কোরবোর্ডের যে চিত্র ছিল ওখানেই ম্যাচটি শেষ হয়ে যেতে পারত। ৮.৩ ওভারে বাংলাদশের রান ৫ উইকেটে ৩৫।
জাকের আলী পরের বলে এসে স্লিপে ক্যাচ দেন। রোহিত ক্যাচ ছেড়ে বাংলাদেশকে ‘জীবন’ দিলেন। সেই জীবনে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে শেষ পর্যন্ত রান ২২৮। যার কৃতিত্ব তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিকের।
ধ্বংস্তুপে সেঞ্চুরির ফুল ফুটিয়েছেন তাওহীদ। তীব্র লড়াইয়ে জাকের পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রান ১৫৪। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রান। তাতেই বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা স্বস্তির পরশ।
আরো পড়ুন:
কোহলিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে বাবর
অভিষেকে ১৫০ করে ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড
সৌম্য, শান্ত, মুশফিক রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেন সাজঘরে। মিরাজ থেমে যান সিঙ্গেল ডিজিটে। তানজিদ চেষ্টা করে ২৫ রান করলেও তাকেও থেমে যেতে হয়। সেখান থেকে তাওহীদ ও জাকেরের লড়াই শুরু হয়।
উইকেট বাঁচিয়ে চলে তাদের ইনিংস মেরামতের কাজ। শুরুতে দুজনই থিতু হয়েছেন। পরে ধীরে ধীরে রান তুলেছেন। প্রতিপক্ষ শিবিরে শামি, অক্ষর, রানার মতো বোলারদের তাদের খেলতে হয়েছে ধীরে সুস্থে। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর নিজেদের সহজাত খেলাটা খেলে অনায়েসে রান তুলেছেন। এক পর্যায়ে প্রতি আক্রমণে গিয়ে রান তুলেছেন।
৮৭ বলে জাকের ও তাওহীদ ৮৫ বলে ফিফটি তুলে নেন। জাকের ফিফটির পর ৬৮ রানে থেমে গেলেও তাওহীদ সেঞ্চুরি তুলে ক্ষান্ত হন। নব্বইয়ের ঘরে ঢোকার আগে কুলদীপ, জাদেজার বলে তার ছক্কা দর্শকদের আনন্দে ভাসায়। আবার পেসারদের পুল ও কাট শটেও মু্গ্ধতা ছড়ান।
কিন্তু সেঞ্চুরির আগে ক্র্যাম্প পড়ে মনোযোগ নড়ে যায় তার। শরীর আগাচ্ছিল না তার। রান নিতে ভুগছিলেন। এর আগে তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল ৯৬ নট আউট। এবারও কী তার সেঞ্চুরি পাওয়া হবে না? না দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এমন কিছু হলো না। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে, শামির করা বোলিংয়ে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরির ল্যান্ডমার্কে পৌঁছান। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন তাওহীদ। ১৮৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১১৮ বলে ১০০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটসম্যানের লড়াই ছাপিয়ে আলোচনায় মোহাম্মদ শামি। ৫ উইকেট নিয়ে ডানহাতি পেসার ধসিয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। তাতে অন্যরকম এক রেকর্ডকেও সঙ্গী করেছেন। আইসিসি ইভেন্টে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন তার। ৬০ উইকেট পেয়েছেন শামি। ছাড়িয়ে গেছেন জহির খানের ৫৯ উইকেটের রেকর্ড।
এছাড়া চ্যাম্পিয়নিস ট্রফিতে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটাও তারই দখলে। ৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। জাদেজা ২০১৩ সালে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ৩৬ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড ৫ উইক ট র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।