মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ছাত্রদল।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১টার দিকে সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‍“বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন শহীদ দিবস পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই সময়ের যে আবহ, যে ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য শহীদরা আত্মহুতি দিয়েছিলেন সেটি এখনো আবহমান রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শেরপুরে সমাবেশ

কুয়েটে সংঘর্ষ নিয়ে যা বলছে ছাত্রদল

তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন, সিলেটের এমসি কলেজে মতামত প্রকাশের জন্য একজন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯৫২ সালেও নিজের ভাষায় অভিব্যক্তি প্রকাশের জন্য করা আন্দোলনে একটি পক্ষ তাদের মতামতকে বাধাগ্রস্ত করেছে।” 

তিনি আরো বলেন, “জুলাই-আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা মনে করছি, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে। তবে, সিলেটে এমসি কলেজে হামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি, একজন শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল, ‘শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি রগ কাটা রাজনীতি’। এজন্য শিবিরের সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি দিয়েছে, ‘রগ তো কাটিনি, তোমাকে দিয়ে শুরু করবো’। পরক্ষণে তার বক্তব্য পরিবর্তন করার জন্য শিবিরের সন্ত্রাসীরা গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকি দিয়েছে। ছাত্রদলের একটি টিম আহত ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে। ওই শিক্ষার্থী এখনো ভয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও শিবিরের বিপক্ষে কথা বলতে ভীত-সন্ত্রস্ত হচ্ছে যে, কখন না জানি শিবিরের সন্ত্রাসীরা রগ কেটে দেয়।”

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এই দিবসে আমরা মনে করছি, সবার মধ্যে মুক্ত মনের আবহ থাকবে, মতামত প্রকাশ করতে পারবে, সেটি যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়।”

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন পরে সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে সমাবেত হয়েছি। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি। এর আগে ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখানে মারামারির ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। আমাদের আগেও ৮-১০টি ছাত্র সংগঠন ফুল দিয়েছে। আমরা নিয়ম মেনে সিরিয়াল অনুযায়ী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল এক শ ফ ব র য় র ছ ত রদল র র জন য মত মত

এছাড়াও পড়ুন:

‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’

সাপ্তাহিক ‘পঙক্তি’র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারীর সমান অধিকার, সাংস্কৃতিক জাগরণ ও মুক্তচিন্তার বিকাশ ছাড়া বৈষম্যহীন সমাজ গঠন সম্ভব নয় এমন মত প্রকাশ করেছেন বক্তারা।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাপ্তাহিক পঙক্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’সহ ৩৮ দাবি সংবাদকর্মীদের 

‘সাম্য, মর্যাদা ও আলোকিত সমাজের স্বপ্নে ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা’

অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, “নারীরা অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও পুরুষতান্ত্রিক নানা বৈষম্য ও হেনস্তার শিকার হন। আমরা দেখছি, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও নারী ও শিশুরা লাঞ্ছিত, নিপীড়িত হচ্ছে, এটি লজ্জার বিষয়। আমরা এমন সমাজ চাই না। আমরা চাই একটি সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত সমাজ, যেখানে নারী–পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে।”

প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বলেন, “আমরা বর্তমানে একটি সাংস্কৃতিকভাবে খারাপ সময় পার করছি। একটি নতুন রাজনৈতিক আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, তাতে একমাত্র একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবই আমাদের জাতিকে রক্ষা করতে পারে।”

কবি ও কলামিস্ট সোহরাব হাসান বলেন, “ফেসবুক–ইউটিউবের যুগে একটি সাহিত্য পত্রিকা টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত কঠিন কাজ। বর্তমানে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক ধরনের বৈরী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে মাজার, দরগা, শিল্পী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক তৎপরতা। এই আক্রমণ জাতিসত্তার উপর আক্রমণ, আমাদের শিল্প–সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সুকুমার ভিত্তির উপর আঘাত। এর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে সাপ্তাহিক পঙ্ক্তির সম্পাদক কবি জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না ওরফে পান্না বেগম বলেন, “আজ আমি খুব আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। আমি একজন সফল নারী বলে নিজেকে সম্মান করি। আমি ২৬ বছর ধরে কাজ করি। কারোর মুখাপেক্ষী হইনি। একটি পত্রিকা কারোর সহযোগিতা ছাড়া নিয়মিত প্রকাশ করা এতোটা সহজ নয়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজকের এই জায়গাটি তৈরি হয়েছে।”

বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মফিজুর রহমান বাবু বলেন, “সাপ্তাহিক পঙ্ক্তি পত্রিকাটি নিয়ে প্রথম থেকেই আমার একটি চিন্তা ছিল। পত্রিকাটির নাম পঙ্ক্তি কেন? খুব চিন্তা করে এর দুইটি কারণ খুঁজে পেলাম। একটি হলো-এই পত্রিকাটির সম্পাদক একজন কবি ও সাংবাদিক। উনার কবিসত্তার চিন্তাধারা থেকে এই নামটি নির্ধারণ করেছেন। কারণ পঙ্ক্তি শব্দের অর্থ কবিতার লাইন বা সারি। আর দ্বিতীয়টি হলো- সম্পাদকের একমাত্র কন্যার নাম পঙ্ক্তি। সন্তানের প্রতি একজন মায়ের যে অসাধারণ ভালোবাসা, তারই বহিঃপ্রকাশ হলো সাপ্তাহিক পঙ্ক্তি।”

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মানিক মুনতাসির, কবি ও সাংবাদিক বজলুর রহমান, কবি মোশাররফ হোসেন ইউসূফ, বাংলানিউজের সাংবাদিক তুলনা আফরিন প্রমুখ।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি