দীর্ঘ দিনের প্রেমিক টনি বেগকে বিয়ে করলেন বলিউড অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি। গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেসের একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।

একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “বিয়েতে ছবি তুলতে নিষেধ করেছিলেন নার্গিস ফাখরি ও টনি বেগ। খুবই গোপনীয়তার মধ্যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন তারা। দুই পরিবারের সদস্য ও তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।”

বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় উড়ে গেছেন সুইজারল্যান্ডে। সেখানে দারুণ সময় উপভোগ করছেন এই নবদম্পতি। সেখানকার কিছু ছবি ভিডিও টনি বেগ তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেছেন। আর একই পোস্ট নিজের ইস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন নার্গিস। একটি ভিডিওতে একই সুইমিংপুলে দেখা যায় তাদের। তা ছাড়া একই লোকেশনে আলাদা আলাদাভাবে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন এই যুগল। তবে বিয়ে নিয়ে তারা আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি।

আরো পড়ুন:

৪১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে ভিকি-রাশমিকার সিনেমার আয়

বিয়ের পর অভিনয়কে বিদায়: নীরবতা ভাঙলেন মহেশ বাবুর শ্যালিকা

২০২৩ সালে নার্গিস ফাখরি জানান, প্রেম করছেন তিনি। তবে কার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন এ তথ্য তখন জানাননি। নার্গিসের সঙ্গে টনি বেগকে অনেকবার দেখা গেছে। টনি বেগ ভারতের কাশ্মীরে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু বসবাস করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে; তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ