সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

চব্বিশের বিপ্লব একটি উন্নত বাংলাদেশ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের বিপ্লব এবং তরুণদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সাংস্কৃতিক শোষণসহ সব ধরনের বৈষম্য দূর করার এক অনন্য সুযোগ দিয়েছে। একটি উন্নত বাংলাদেশের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই ঐতিহাসিক দিনে আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

তিনি ব‌লেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য, সমান সুযোগ নিশ্চিত করে এবং সব ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করে এই আদর্শগুলোকে সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার বহুভাষার প্রচার, বিপন্ন ভাষা সংরক্ষণ এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এই দিনটি সারা বিশ্বে আমাদের সবার জন্য একটি শুভ মুহূর্ত নিয়ে আসে। প্রতিটি সংস্কৃতিতে পরিচিত এবং অজানা ব্যক্তিদের স্মরণ করার জন্য, পৃথিবীর প্রতিটি কোণে বসবাসকারী প্রতিটি জাতিসত্তা যারা অগণিত উপায়ে অবদান এবং ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং তাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা ও সমুন্নত রাখার জন্য সংগ্রাম করেছে। একই সময়ে আমাদের জাতীয় পরিচয় নির্বিশেষে, আমরা একটি সার্বজনীন মানবজাতির সদস্য হিসেবে, আমরা এখন যে সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় বিশ্বে বাস করি তার জন্য সেই অজ্ঞাত নায়কদের কাছে চিরকাল ঋণী থাকা উচিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক কোরের ডিন মজিদ হালিম বলেন, বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপিত হচ্ছে। যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন, আমরা তাদের স্মরণ করি। ভাষা সবাইকে সংযুক্ত করে, তাই প্রতিটি ভাষাকেই রক্ষা করতে হবে।

ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর সুজন ভাইস বলেন, বাংলাদেশ মাতৃভাষা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তাই বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে  চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বের অন্যান্য ভাষার মতো বাংলা ভাষাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব ভাষার বিকাশ প্রত্যাশা করি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক ইকবাল আহমেদ।

এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি কূটনীতিকরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন প্রেমিক মিঠুনের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন মমতা

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যেমন শাসন করেছেন, তেমনি বলিউডেও নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। অভিনয় গুণে মিঠুন কুড়িয়েছেন যশ-খ্যাতি।

১৯৫০ সালের ১৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন মিঠুন। আজ পঁচাত্তর পূর্ণ করে ছিয়াত্তর বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন। বিশেষ দিনে মিঠুনকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা-অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর।

জন্মদিন উপলক্ষে মিঠুনের উদ্দেশ্যে মমতা শঙ্কর বলেন, “প্রিয় মিঠুন, সুস্থ থাক। সবাইকে নিয়ে ভালো থাক। খুশিতে ও আনন্দে থাক। আরো ভালো ভালো কাজ আমাদের উপহার দে। সাই বাবার কাছে তোর জন্য সারাক্ষণই প্রার্থনা করি।”

আরো পড়ুন:

অক্ষয়ের সিনেমার আয় ৩৩২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

মিঠুনের সঙ্গে পরিচয়ের কথা মনে করে মমতা শঙ্কর বলেন, “মিঠুনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা মৃণালদার বাড়িতে। তখন ‘মৃগয়া’ নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আমার আর মিঠুনের জীবনের প্রথম সিনেমা এটি। কত স্মৃতি। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব।”

শুটিং সেটে এবং সেটের বাইরে মমতার সঙ্গে খুবই রসিকতায় মেতে উঠতেন মিঠুন। স্মৃতিচারণ করে মমতা শঙ্কর বলেন, “বাবা, মিঠুন, দারুণ বিচ্ছু। সারাক্ষণ ওর রসিকতা। সবার পিছনে লাগত। আমিও ছাড় পেতাম না। ২৪ ঘণ্টা ওর মাথার মধ্যে দুষ্টুবুদ্ধি ঘুরত। আমাকে খুব লেগ পুল করত। আর আমি রেগে যেতাম। সে কী বলব!”

২০২৬ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার ৫০ বছর পূর্তি হবে। সেই সূত্রে মিঠুন-মমতারও অভিনয় ক্যারিয়ার ৫০ বছরে পা দেবে। এই বিষয়টা মমতার মনকে বেশ প্রফুল্ল করে তুলেছে!

ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সবকিছু ভুলে এখনো এ জুটির বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।

দেব প্রযোজিত ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন মিঠুন-মমতা। এ অভিনেত্রী বলেন, “মিঠুন আমার বন্ধু, সারাজীবন থাকবে। হ্যাপি বার্থ ডে মিঠুন। সব্বাইকে নিয়ে তুই খুব ভালো থাকিস।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ