বিএনপি নেতাকে প্রধান অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ
Published: 21st, February 2025 GMT
ইসলামী মাহফিলে বিএনপি নেতাকে প্রধান অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ ঘোষণা করেছে আয়োজকরা। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়।
শুক্রবার উপজেলার খোশারপাড় নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় তাফসীরুল কুরআন মাহফিল হওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় বিএনপি নেতাকে প্রধান অতিথি করায় ওই মাহফিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জানা যায়, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলা আহ্বায়ক নজির আহমেদ ভুঁইয়াকে প্রধান অতিথি করায় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার সমর্থক গাজী জাফর, গাজী জয়নাল আবেদীন, গাজী নজির ও ফয়েজ আহমেদ মাহফিলে বাধা দেন।
অন্যদিকে প্রধান অতিথিকে বাদ দিয়ে মাহফিল করলে তার অসম্মান হবে দাবি করে তা বন্ধ ঘোষণা করেন আয়োজকরা।
এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে স্থানীয় মহলে। মাহফিল বন্ধের নিন্দা জানিয়ে খোশারপাড় নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মতিন ভূঁইয়া মিলন, প্রধান পৃষ্ঠপোষক আব্দুল্লাহ আল নয়ন, ক্যাশিয়ার বিল্লাল হোসেন মুকুল বলেন, নজির আহমেদ ভূঁইয়াকে প্রধান অতিথি করায় সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভুঁইয়ার কর্মী গাজী জাফর, গাজী জয়নাল আবেদীন, গাজী নজির ও ফয়েজ আহম্মেদ তাফসির মাহফিলে বাধা দেন। এতে সংঘর্ষের আশংকায় আমরা গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে মাহফিল বন্ধ ঘোষণা করি।
এব্যাপারে গাজী জাফর বলেন, আমি আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার রাজনীতি করি। আমরা মাহফিলে বাধা প্রদান করিনি, আমরা বলেছি যেহেতু আমার নেতৃত্বে গ্রামে বিএনপির একটি অফিস আছে তাই মাহফিলে সমস্যা হলে আমরা দায়ী নই।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, মাহফিল বন্ধের বিষয়টি জেনেছি, খবর নিয়ে দেখবো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা