মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ছাত্র ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ’র শ্রদ্ধাঞ্জলি
Published: 21st, February 2025 GMT
২১শে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ৫২'র ভাষা আন্দোলনের শহীদসহ মুক্তি সংগ্রামের সকল লড়াকুদের স্মরণে প্রভাত ফেরি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা সৃজয় সাহার সঞ্চালনায় জেলা কার্যালয় থেকে র্যালি শুরু করে বি বি রোড প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌছায়৷ পরবর্তীতে শহীদ মিনারের বেদিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ সহ-সভাপতি সৌরভ সেন, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধাসহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ কলেজ কমিটির আহবায়ক মৌমিতা নূর, সদস্য সচিব আবিদ রহমান, ভোলাইল শাখার আহ্বায়ক মাহাদি হাসান,যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্নীল শোভন, তোলারাম কলেজ সংগঠক রাইসা ইসলাম, মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা সহ অন্যান্য কর্মী-সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা বলেন, " মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই জন্ম নিয়েছিল প্রতিবাদ, আর সেই প্রতিবাদই আমাদের সংগ্রামের শক্তি দিয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সেই চেতনা আজও আমাদের পথ দেখায়, অধিকার আর ন্যায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাহস দেয়।
ভাষা শহীদরা শুধু ভাষার জন্য নয়, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজও ছাত্রসমাজ সেই স্বপ্ন নিয়েই লড়ছে— সবার জন্য সমান শিক্ষা, গণতন্ত্র আর ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য।"
শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মানবিকতার বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, '২১শে ফেব্রুয়ারি শুধু স্মরণ করার দিন নয়, এটি নতুন শপথ নেওয়ার দিন— অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দিন। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, আপামর ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে ভাষার মর্যাদা রক্ষা, মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মানে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন লড়াই অব্যাহত রাখবে।"
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।