বগুড়ার শিবগঞ্জে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে তার বাম চোখের কোণে এবং কোমরে ছুরিকাঘাত করা হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। 

আহত নাগরিক ঐক্যের নেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, “কে ছুরিকাঘাত করেছে তা ওই সময় বুঝতে পারিনি। তবে আমাদের দলের লোকেরা খোঁজ-খবর নিচ্ছে।”

খবর পেয়ে রাতেই শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.

তাসনিমুজ্জামান, শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান শাহীন তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। নাগরিক ঐক্যের নেতারা এ ঘটনার জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, “ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। ঘটনার সাথে কারা জড়িত এ সংক্রান্ত কোন নাম আমাদের কাছে তারা বলেনি। এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।”

ঢাকা/এনাম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ বগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ