হাতিরঝিলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু
Published: 21st, February 2025 GMT
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক স্কুলছাত্র মারা গেছে। তার নাম রাইয়ান জাবির (১৬)। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রাইয়ান বনশ্রী মডেল হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গুরুতর আহত অবস্থায় রাইয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের চাচা তাহমিদুন নবী প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে রাইয়ান তার এক বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল। হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্ট–সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডে ধাক্কা লেগে দুজনই আহত হয়। রাইয়ানকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলো চিকিৎসক ঘোষণা করেন।
তাহমিদুন নবী আরও বলেন, ‘রাইয়ানের বন্ধুকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যতটুকু জানতে পেরেছি, তার নাম সিয়াম।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.
স্বজনেরা জানান, রাইয়ান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হাজীপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। বর্তমানে খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। এক ভাই, এক বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?