জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব সবার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব লেখেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া একদিনে ঘটেনি। মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল অথবা আহত হয়েছিল এবং অসংখ্য মানুষ আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। তাই আমরা এটি অর্জন করেছি। কৃতিত্ব সবার।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার পতন একদিনে ঘটেনি। এর পেছনে অনেক বছরের ত্যাগ ও সংগ্রাম আছে। হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন, অপহৃত হয়েছেন মুক্তির জন্য। এর ফলস্বরূপ, ২০২৪ সালে ৫ আগস্টে হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিলেন।’

মির্জা ফখরুল লেখেন, ‘কৃতিত্ব সবার: ছাত্র, সাধারণ মানুষ, ডাক্তার, রিকশাচালক, বিক্রেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, পেশাদার, প্রবাসীরা, আমাদের বিদেশি বন্ধু, শিশু, প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এবং অবশ্যই রাজনীতিবিদরা।’

নিজের দলের ও নেতাকর্মীদের বিষয়ে ফখরুল লেখেন, ‘আমরা, বিএনপির নেতাকর্মীরা, সব সময় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ছিলাম এবং থাকব। চলুন, আমাদের এই ইতিহাস দৃঢ়তা, সততা এবং সত্যের সঙ্গে লিখি। এখন, আমাদের দেশের পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করি। সবার আগে বাংলাদেশ! বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ক ত ত ব সব র আম দ র ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি