নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল  মাওলানা রফিকুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক অধ্যক্ষ ড.

ইকবাল  হোসাইন ভূঁইয়া। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈশাখা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা কলেজের  অধ্যাপক  মো:ওবায়দুল হক । অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান গিয়াস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  অধ্যক্ষ ড. ইকবাল  হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ সোনারগাঁও উপজেলায় অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ কলেজ। আমাদের কলেজের শিক্ষকরা খুব আন্তরিকতার সাথে পাঠ দান করে থাকেন এবং আমাদের এই কলেজটি দিয়ে বিভিন্ন চড়াই উৎড়াই এর মধ্য দিয়ে দিন দিন উন্নতির শিখরে আরোহন করছে। আমরা একটি মানসম্মত কলেজ ও ইউনিভার্সিটি  প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। তিনি এই কলেজ থেকে যারা পাশ করে গেছে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই কলেজ থেকে যারা পাস করে বিভিন্ন  পজিশনে আছো তোমাদের সার্বিক সহযোগিতা  কামনা করছি। 

সভাপতির বক্তব্যে  প্রফেসর ওবায়দুল হক বলেন, এই কলেজ থেকে  অনেক ছাত্রছাত্রী পাশ করে গিয়ে শিক্ষক,  সাংবাদিক, ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অনেক পেশায় যুক্ত আছে। সকলকে কলেজটির উন্নয়নকল্পে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাই। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক ঘাটতি থাকতে পারে কিন্তু আন্তরিকতার ঘাটতি নাই। বিগত সরকার শিক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে গেছে।  আমরা চেষ্টা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে একটা বহুতল ভবন নির্মাণ করার জন্য। কলেজের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সততা নিয়ে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ নাই বলে তিনি সকলকে কলেজটিকে উন্নত করার পরামর্শ ও সহযোগিতার  কামনা করেন। 

অত্র কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ২০১০ সালের  এইচএসসি পরীক্ষায় সোনারগাঁও উপজেলায় একমাত্র জিপিএ 5 প্রাপ্ত মোঃ রইস উদ্দিন বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা স্বপ্ন দেখায়, পরিশ্রম করায় ও সফলতার পথ দেখায়। কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ব্যর্থতা থেকে। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল,সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুমের সোনারগাঁও  আইডিয়াল কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেনি। 

 

প্রাক্তন ছাত্রী ছনিয়া আক্তার বলেন, কলেজের শিক্ষকরা আমাদের সন্তানতুল্য স্নেহে পড়ালেখা করিয়েছেন।

আরেক প্রাক্তন ছাত্র মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ সোনারগাঁ উপজেলা একটি স্বনামধন্য কলেজ হওয়া সত্বেও গত ১৫ বছরে যথাযথ অবকাঠামগত উন্নয়ন হয়নি।আমরা সকলে মিলে কলেজটিকে একটি উন্নত ও মানসম্মত কলেজ হিসেবে গড়ার জন্য সহযোগিতা করব।

 উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট আমির হোসেন, জহিরুল ইসলাম, সোনারগাঁও আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। 

এসময় অনুষ্ঠানে আগত প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ল কল জ র অন ষ ঠ ন ও আইড য আম দ র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ

বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।

দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।

পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।

বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসী

সম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।

এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।

সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।

রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ