রাজধানীর বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ‘অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জনকে’।

গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর স্ত্রী হোসনেয়ারা সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ।

রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার না থাকার তথ্য দিয়ে ওসি বলেন, “চেষ্টা চলছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আসামিদের ধরতে পারব। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নিচ্ছি, আমরা চেষ্টা করছি।”

রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লকের ৭ নম্বর সড়কে নিজের বাসায় ঢোকার আগ মুহূর্তে আনোয়ার হোসেন নামের ওই স্বর্ণের ব্যবসায়ী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।

আনোয়ার হোসেন বনশ্রীতে ‘অলংকার জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকান চালান।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “আনোয়ার হোসেনকে ঘিরে ধরে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন। তারা তাকে গুলি করে সোনা ও স্বর্ণের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।”

আহত আনোয়ার হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তখনই তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকার ব্যাগ নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

এ ঘটনায় স্ত্রীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ছিনতাইকারীরা ১৬০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় স বর ণ বনশ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ