বনশ্রীতে গুলি করে টাকা ও স্বর্ণ লুটের ঘটনায় মামলা
Published: 24th, February 2025 GMT
রাজধানীর বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ‘অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জনকে’।
গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর স্ত্রী হোসনেয়ারা সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ।
রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার না থাকার তথ্য দিয়ে ওসি বলেন, “চেষ্টা চলছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আসামিদের ধরতে পারব। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নিচ্ছি, আমরা চেষ্টা করছি।”
রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লকের ৭ নম্বর সড়কে নিজের বাসায় ঢোকার আগ মুহূর্তে আনোয়ার হোসেন নামের ওই স্বর্ণের ব্যবসায়ী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।
আনোয়ার হোসেন বনশ্রীতে ‘অলংকার জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকান চালান।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “আনোয়ার হোসেনকে ঘিরে ধরে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন। তারা তাকে গুলি করে সোনা ও স্বর্ণের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।”
আহত আনোয়ার হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তখনই তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকার ব্যাগ নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এ ঘটনায় স্ত্রীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ছিনতাইকারীরা ১৬০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
ঢাকা/এমআর/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় স বর ণ বনশ র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।