রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি: এমসিসি
Published: 25th, February 2025 GMT
অর্থবছরের দ্বিতীয় বা অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, সেখান থেকে অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই সময় দেশের রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বেড়েছে। যদিও মূল্যস্ফীতিসহ আরও বেশ কিছু চাপ রয়ে গেছে।
দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের যে পতন শুরু হয়েছিল, তা থেমেছে, যদিও অনিশ্চয়তার কিছু জায়গা রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশি মুদ্রার দরপতন থেমেছে। চলতি হিসাবের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অর্থনীতির পর্যালোচনায় এসব কথা বলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির ধারাবাহিক পুনরুদ্ধার হলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ আরও বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন রাজস্ব সংগ্রহের গতি কমে যাওয়া, সরকারি ব্যয় কমে যাওয়া, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া, বিনিয়োগ পরিস্থিতির অবনতি ও ব্যাংকিং খাতের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে।
এমসিসিআই মনে করছে, আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গৃহীত নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রবাসী আয় ও রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময় প্রবাসী আয় প্রবাহে ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং রপ্তানিতে ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ কারণে বেশ কয়েক মাস পর চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দেখা যাচ্ছে। বাস্তবতা হলো, পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ে ৩৪৭ কোটি মার্কিন ডলার ঘাটতি কাটিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত আছে ৩৩ মিলিয়ন বা ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
একই সঙ্গে দেশের আর্থিক হিসাবেরও উন্নতি হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে এমসিসিআই দেখিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে উদ্বৃত্ত ছিল ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ২০২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে উদ্বৃত্ত বেড়ে ১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন বা ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলারে উঠেছে। মূলধন হিসাবও ৩৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উদ্বৃত্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৭ মিলিয়ন বা ২১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। ফলে দেশের সামগ্রিক ভারসাম্যের ঘাটতি কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে যা ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার, এবার তা ৩৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে নেমে এসে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি বেড়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। প্রবাসী আয় ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে বেশি হওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। অক্টোবর-ডিসেম্বর সময় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন বা ৯৭৬ কোটি মার্কিন ডলার।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড স ম বর এমস স দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
আর মাত্র এক দিনের অপেক্ষা। এরপরই শুরু হবে বহুল আলোচিত ক্লাব বিশ্বকাপের মহারণ। রোববার সকাল ছয়টায় স্বাগতিক ইন্টার মায়ামি ও আল আহলির মধ্যে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আন্তমহাদেশীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই।
এরই মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফিকে পাখির চোখ করে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে দলগুলো। যেখানে এক মাসব্যাপী দেখা যাবে তারার দ্যুতিও। তবে ক্লাবের বিশ্বকাপের ঝলমলের প্রদীপের নিচে আছে কিছু অন্ধকারও।নিয়মের কারণে বেশ কিছু শীর্ষ দল ও তারকাদের এই টুর্নামেন্টে থাকতে হবে দর্শক হয়ে। ক্লাবগুলোর মধ্যে যে তালিকায় আছে ইউরোপে চলতি মৌসুমের তিনটি চ্যাম্পিয়ন দলও।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে কেবল বুন্দেসলিগাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ এবং ফরাসি লিগ আঁ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল, লা লিগা বিজয়ী বার্সেলোনা এবং সিরি ‘আ’ চ্যাম্পিয়ন নাপোলিকে দেখা যাবে না এই প্রতিযোগিতায়।
আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে রিয়াল মাদ্রিদ যেখানে ব্যতিক্রম৮ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনা, লিভারপুল এবং নাপোলি কেন জায়গা পায়নিফিফার ঠিক করা নিয়ম অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সময়ের মধ্যে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় যারা মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে তারাই শুধু জায়গা পাবে। এ নিয়ম অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪—এই চার বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী চেলসি (২০২১), ম্যানচেস্টার সিটি (২০২৩) ও রিয়াল মাদ্রিদ (২০২২ ও ২০২৪) ক্লাব বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে।
দারুণ ছন্দে থাকা বার্সা ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়নি