৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা
Published: 25th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শিমুল (২০) নামের এক যুবককে গণধোলাইয়ের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কাঁচপুর পাঠাত্তা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটক শিমুল পাবনা জেলার ঈশ্বরদী এলাকার মো. শরীফের ছেলে এবং কাঁচপুর পাঠাত্তা এলাকার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানাগেছে, শিমুল ও শিশুটির পরিবার কাঁচপুর পাঠাত্তা এলাকার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। শিমুল একটি রিকশা গ্যারেজে কাজ করেন। সেখানে আসা-যাওয়ার সময় সু-কৌশলে শিশুটিকে বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এলাকাবাসী শিমুলকে আটক করে গণধোলাই দিলে ধর্ষণের কথা শিকার করে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, শিমুল এলাকাবাসীর কাছে বলছেন, বাথরুমে নিয়ে গিয়ে আজই প্রথম এই কাজ করেছি। আর জীবনে এমন কাজ করব না। আমাকে মাফ করে দেন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে ছেলেটিকে উদ্ধার করি। কারণ সেখানে শত শত লোক জমায়েত হয়ে যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিমুল পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পিটুনির পর দুই অপহরণকারীকে পুলিশে সোপর্দ
গোপালগঞ্জে এক ব্যক্তিকে অপহরণের সময় দু’জনকে পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে জনতা। ওই দু’জন নিজেদের সেনাবাহিনী ও র্যাব কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। রোববার সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর মামলায় আজ সোমবার দু’জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– সদর উপজেলার গোপীনাথপুর শরীফপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান (৪২) ও টুঙ্গিপাড়ার জোয়ারিয়া গ্রামের শ্রীবাস ঢালী (৩২)। ভুক্তভোগী সোনা মিয়া (৪২) সদর উপজেলার সুকতাইল ইউনিয়নের চরতালা গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, হাবিবুর নিজেকে সেনা কর্মকর্তা ও শ্রীবাস নিজেকে র্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে রোববার তাঁকে ইজিবাইকে তুলে চন্দ্রদিঘলীয়া নিয়ে যান। পরে সোনা মিয়াকে দিয়ে ওই ব্যক্তিকে পরিবারের সদস্যের কাছে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তায় ক্ষিপ্ত হয়ে জনতা তাদের পিটুনি দিয়ে গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে সোনা মিয়া গোপালগঞ্জ সদর থানায় রাতেই মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে সোমবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।