ছাত্রলীগ নেতাকে শ্বশুর বাড়িতে গণধোলাই
Published: 25th, February 2025 GMT
জয়পুরহাটে শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা কালাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তৌফিকুল ইসলাম তৌহিদকে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার বিয়ালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ কালাই পৌরশহরের পূর্বপাড়া মহল্লার মো. মাহতাব হোসেনের ছেলে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
স্থানীয়রা জানান, মাত্রাই ইউনিয়নের বিয়ালা বাজারে শ্বশুর ফজলে এলাহি তোতার বাড়িতে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন তৌফিকুল ইসলাম তৌহিদ। বিষয়টি স্থানীয় জনতা জানতে পেরে সোমবার রাতে তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বলেন, তৌহিদের নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণধ ল ই
এছাড়াও পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গফরগাঁও থানায় গত বছরের নভেম্বরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। তিনি রসুলপুর ইউনিয়নের ভরভরা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, আলাল উদ্দিন ১৯৯৯ সালে ভরভরা গ্রামের রুস্তম আলীর কাছ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি কিনে নেন। রুস্তম আলী ওই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর আলাল উদ্দিন ও তাঁর ছেলেরা প্রায় দুই যুগ ধরে সেখানে চাষাবাদ করে আসছেন। গত আমন মৌসুমে আলাল উদ্দিন জানতে পারেন, তিনি রুস্তম আলীর (বর্তমানে মৃত) কাছ থেকে যে জমি কিনে ভোগদখল করে আসছেন, সাফকবলা দলিলপত্রে উল্লেখ করা দাগ নম্বরের সঙ্গে ওই জমির দাগ নম্বরের মিল নেই।
আলাল উদ্দিনের কেনা জমির দলিলপত্রে আলালপুর মৌজার যে দাগ নম্বরের উল্লেখ রয়েছে, সেটাও রুস্তম আলীর জমি। কিন্তু ওই জমি রুস্তম আলী ১৯৯৪ সালে অন্যজনের কাছে বিক্রি করেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দুই পক্ষ সালিশ বৈঠক ডাকে। সালিশে সিদ্ধান্ত হয় আলাল উদ্দিন যে জমি ভোগ করছেন সেই জমির দলিলপত্র সংশোধন করে দেওয়ার। কিন্তু রুস্তম আলীর ছেলেরা সালিশের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। উপায়ান্তর না পেয়ে দাগ নম্বর সংশোধনীর জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন আলাল উদ্দিন।
আদালত বিক্রেতা পক্ষকে তাদের দলিলপত্র নিয়ে আদালতে হাজির হতে নোটিশ পাঠান। নোটিশ পেয়ে আলাল উদ্দিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রুস্তম আলীর ছেলেরা। আলাল উদ্দিনের রোপণ করা ধান কেটে নিয়ে জমিটি দখল করে প্রতিপক্ষ। এর পর থেকে হুমকি দিয়ে আসছেন অভিযুক্তরা।
হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে রুস্তম আলীর ছেলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘আলাল আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করেছেন। এখন যা করবে প্রশাসনই করবে।’