ফ্যাসিস আওয়ামীলীগের দোসরদের সুযোগ দিবেন না : সাহেদ
Published: 26th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ বলেছেন, আপনারা যারা এখানে যুবদল করবেন আপনাদের পর থেকে কেন্দ্র বেসিক কাজ করতে হবে। যারা ফ্যাসিসদের দোসর ছিল তাদেরকে বাদ দিন। প্রয়োজনে নতুন নেতাকর্মী তৈরি করুন।
এদেশের ৬০% মানুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী আপনারা সেখান থেকে নেতৃত্ব বের করে নিয়ে আসুন। একটি অনুরোধ আপনাদের কাছে কোন ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের দোসরদের আপনারা সুযোগ করে দিবেন না।
আপনারা যদি ভুল করেন তাহলে কিন্তু আমরাও এটা খেসারত দিবো। আর আপনারা আমাদেরকে জানাবেন যারা ফ্যাসিসদের দোসর তাদেরকে আমাদের স্থানে ভীড়তে দিবেন না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। বুধবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় বন্দর ইউনিয়নের পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বিগত ওয়ান এলিভেনের পর থেকে এবং ৫ই আগস্ট এর পূর্বে বাংলাদেশের ফ্যাসিস মুক্ত ও গণতন্ত্রকে পূর্ণ উদ্ধার করতে সেই ছাত্রদল থেকেই কিন্তু আমরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। যা সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে মানুষ নারায়ণগঞ্জ মহানগর কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক আন্দোলন করেছিলাম এবং দেখিয়ে দিয়েছিলাম।
আপনারা যেন তার জন্য কিন্তু আমরা বারবার কারাবন্দি হয়েছিলাম। বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কিন্তু আপোষ করিনি। আমাদের প্রতি নিজ দলের নেতাকর্মীদের মান অভিমান অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু একটি জায়গায় আমরা ১০০% কাজ করেছি সেটি হল দলের প্রতি আনুগত্য।
আমরা যারা এখানে আছি দলের প্রতি দেশের প্রতি এবং জিয়া পরিবারের প্রতি আমাদের যে কমিটমেন্ট এবং দলের আন্দোলন সংগ্রাম ও কিন্তু আমাদের যে কমিটমেন্ট ছিল সেই ব্যাপারে কিন্তু কেউ কোনদিন আঙ্গুল তুলতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সবাই সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এই দেশ কিন্তু কখনোই চক্রান্তের বাইরে ছিল না এখনো চক্রান্ত হচ্ছে। একটা ফ্যাসিস দূর হয়েছে এখন আবার আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্টারন্যাশনাল ভাবে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
আমরা মহানগর যুবদল বলতে চাই আমরা যেহেতু খুনি হাসিনার বন্দুকের নলের মুখে ভয় পাই নাই এদেশের যত চক্রান্তকে পতিহত করতে আমরা নিজেদের বুকে তাজা রক্ত দিতে দ্বিধাবোধ করবো না। ইনশাল্লাহ মহানগর যুবদল আমরা রাজপথে আছি রাজপথে থাকবো সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.
এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর উপজেলা বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ র য বদল র ল ইসল ম র রহম ন আম দ র আহম দ আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।