বগুড়ায় নাগরিক ঐক্যের ৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা
Published: 26th, February 2025 GMT
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রনি মিয়ার বাড়িতে হাত বোমা ও পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এতে নাগরিক ঐক্যের ৯ নেতাসহ ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে যুবদল নেতা রনি বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলা নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সরকার (৪৫), সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত আমিন বিদ্যুৎ (৩২), হারুনুর রশিদ (৫০), উপজেলা নাগরিক যুব ঐক্য সভাপতি অমিত হাসান (৩৫), নাগরিক ঐক্যের কর্মী তোফা (৫৫), সাগর (৩৫), মোকাররম হোসেন খোকন (৩২), পিয়াল (৫৫) ও লিপি বেগম (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, “পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় যুবদল নেতা রনি মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।”
এর আগে গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আব্দুল বাহাপুর গ্রামে যুবদল নেতা রনি মিয়ার বাড়িতে ককটেল, পেট্রোল বোমা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিবাদে মোকামতলা-জয়পুরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/এনাম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ বগঞ জ য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।