ঢাকার দোহারে ডাকাত দলের হামলায় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চর কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই গ্রামের সোহেল ভান্ডারি (৪৫), মাসুদ (১৮), এমডি রবিন (৩২), নুর মোহাম্মদ (২০), রিয়াজুল ইসলাম (৩৭), সাহেব আলী ও বায়েজিদ হোসেন (২০)। তাঁদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা ডাকাত দলের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে চর কুতুবপুর গ্রামে নিলুয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় ২০-২৫ জনের একটি ডাকাত দল। তারা দরজা ভেঙে প্রথমে নিচতলায় একটি কক্ষ থেকে সাত-আট ভরি সোনা লুট করে। টের পেয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলায় ছুটে আসেন নিলুয়ার ও তাঁর ছোট ভাই জিন্নাত আলী। এ সময় তাঁরা ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার দিলে এলাকাবাসীরা লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসেন। ডাকাতেরা গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিলুয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতেরা একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে তাঁদের বাড়িসংলগ্ন পদ্মা নদীর ঘাটে আসে। ডাকাতদের ট্রলারটি আটকে রাখা হয়েছে। গ্রামবাসী প্রতিরোধ করলে ডাকাতেরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বায়েজিদ হোসেন। তিনি জানান, তাঁর শরীরে প্রায় ১০টি ছররা গুলি লেগেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বিশ্রামে আছেন।

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসী এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে ডাকাতদের ছোড়া গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ক ত দল গ র মব স

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ