সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বজায় ও কর্ম উপযোগী পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসি থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কর্ম উপযোগী পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের প্রবেশ সীমিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রবেশ পথ ও অভ্যন্তরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত, কার্যকর থাকবে।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১.

নির্বাচন ভবনে প্রবেশ ও অবস্থানকালীন সময়ে অফিসিয়াল প্রবেশপত্র/পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে এবং তা ঝুলিয়ে রাখা থাকবে।

২.  কার্ডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, নির্বাচন ভবনে প্রবেশের পূর্বে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করবেন এবং সঙ্গে বহনকৃত ব্যাগ/বস্তু ব্যাগেজ স্ক্যানারে মাধ্যমে স্ক্যান করা নিশ্চিত করবেন।

বিজ্ঞাপন
৩.  কার্ডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ ও প্রস্থানকালে ফ্ল্যাপ বেরিয়ার ট্রান্সটাইল এন্টারেন্স এক্সেস কন্ট্রোল ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট গেটের মাধ্যমে ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করবেন।

৪.  দর্শনার্থী/সেবা প্রত্যাশী নির্বাচন ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশকারীর তথ্য রেজিস্টার/কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করে ভিজিটর কার্ড গ্রহণপূর্বক দর্শনীয়ভাবে তা গলায় ঝুলিয়ে ফ্ল্যাপ বেরিয়ার ট্রান্সটাইল এন্টারেন্স এক্সেস কন্ট্রোল গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।

৫. দর্শনার্থী/সেবা প্রত্যাশী ভবনের যে তলায় প্রবেশাধিকার পাবেন তিনি শুধুমাত্র সেখানেই যাবেন এবং প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত অবস্থান করবেন। নির্বাচন ভবন ত্যাগ করার পূর্বে ভিজিটর কার্ড ফেরত দেবেন।

৬. কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী অফিস চলাকালীন সময়ে বিশেষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে নির্বাচন ভবনের বাইরে যাবেন না।

৭. অফিস ত্যাগের পূর্বে সকলেই আবশ্যিকভাবে স্ব-স্ব অনুবিভাগ/অধিশাখা/শাখার নথিপত্র নিরাপদে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি কম্পিউটার সামগ্রী, এসি, বৈদ্যুতিক ফ্যান, মাল্টিপ্লাগ, লাইট, দরজা-জানালা ইত্যাদি বন্ধ করে অফিস ত্যাগ করবেন।

৮. দাপ্তরিক প্রয়োজন ব্যতীত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী ভবন বা স্বীয় দপ্তরে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করবেন না।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: কর মকর ত করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন

শ্রমিক অধিকার আদায়ের দিন মহান মে দিবস আজ। কর্মক্ষেত্রে বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন। অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিনটি উপলক্ষে বুধবার দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে  অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম; দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সরকারি অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– সকাল সাড়ে ৭টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শোভাযাত্রা। শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এর উদ্বোধন করবেন।

মে দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপে শ্রমজীবী মানুষ দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করছেন। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হয়। এখন শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকার কথা না। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি 

আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা। এতে ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলার নেতাকর্মী অংশ নেবেন।

এ উপলক্ষে গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, শ্রমজীবী মানুষের আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় পল্টনে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। উপস্থিত থাকবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ