দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ৫
Published: 27th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। উপজেলার চর বড়লই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলা থেকে জানা গেছে, পূর্ব ধনিরাম গেটের বাজার এলাকার ওই তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে চন্দ্রখানা বালাটারী গ্রামের মঈনুল হকের পরিচয় হয়। গত বুধবার ওই তরুণী সদর উপজেলার চর সারডম এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। মোবাইল ফোনে মঈনুলের সঙ্গে কথা হলে সে তরুণীকে দেখা করতে অনুরোধ করে। তার কথামতো বাইরে বের হলে ওত পেতে থাকা মঈনুল হক ও তার সহযোগীরা তাঁকে জাপটে ধরে র্নিজন এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। তরুণী তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই দিনই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– চন্দ্রখানা বালাটারী গ্রামের মঈনুল হক, হাসানুল হক, বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়লই বাংলাবাজার এলাকার ইয়াকুব আলী, চর বড়লই হাজিটারী এলাকার লাল মিয়া ও সোহেল রানা। মামলার অপর দুই আসামি সদর উপজেলার হলোখানা এলাকার আল-আমিন ও বাংলাবাজার এলাকার আতিয়ার রহমান। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
নাগেশ্বরী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোজাম্মেল হক জানান, মামলার ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এল ক র ন ল হক মঈন ল
এছাড়াও পড়ুন:
মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী
গত মার্চে ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে ১২৫ কন্যাসহ ১৬৩ জনকে। ১৮ কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য জানান। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মোট ১৮৯ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩০ কন্যাসহ ৪৮ জন। তার মধ্যে তিন কন্যাসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২০৫ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৩ কন্যাসহ ৪৯ জন। তার মধ্যে ১৪ কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাসহ দুইজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
মডারেটরের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বর ধারা জেন্ডার সমতা। এটি উপেক্ষা করা কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের অন্যতম দাবি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সংসদে এক-তৃতীয়াংশ আসন ও সরাসরি নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।
পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৪টি। এর আগে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ১৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯৯ কন্যাশিশু।