বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কে যান চলাচল বন্ধ
Published: 28th, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জে সদর উপজেলার একটি বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে মালবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। এ কারণে সুনামগঞ্জ-দিরাই-সিলেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠরই ইউনিয়নের মদনপুর এলাকায় বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে যায়।
এলাকাবাসী জানান, আজ সকালে একটি মাল বোঝাই ট্রাক সুনামগঞ্জ সদর থেকে দিরাই উপজেলার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি মদনপুরের বেইলি সেতুতে উঠলে সেতুটির পাটাতন ভেঙে যায়। বর্তমানে ট্রাকটি বেইলি সেতুর ওপর আটকে আছে। এ কারণে সড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা
ডিএনসিসিকে কারিগরি সহায়তা দেবে লন্ডনের টিএফএল
ঝালকাঠিতে গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, শিক্ষক নিহত
দিরাই উপজেলাগামী একটি পরিবহনের যাত্রী সুলেমান মিয়া বলেন, “এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে গতকাল সুনামগঞ্জে যাই। আজ বাড়ি ফিরছিলাম। দিরাই রাস্তায় এসে মহাবিপদে পড়লাম।”
মনিরুজ্জামান তালুকদার নামে এক পিকআপ ভ্যানের চালক বলেন, “ভোরে সবজি নিয়ে দিরাই রওনা হয়। সেতু ভেঙে যাওয়ায় আটকে পড়েছি। রোদের কারণে গাড়িতে থাকা সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। সেতু দ্রুত মেরামত করা না হলে আমাদের অনেক লোকসান হবে।”
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন স ন মগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক