আনন্দঘন মুহুর্ত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ব্রাইট স্টার ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৫। শুক্রবার ফতুল্লার শেহাচর নূর মসজিদ সংলগ্ন ব্রাইট ক্লাব ভবনে রাত ৮ টা থেকে ভোট শুরু হয়ে একটানা রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। ৩২ জন স্থায়ী সদস্যর মধ্যে ৩০ জন সদস্য তাদের গোপন ব্যালটে  ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। 

এই নির্বাচনে আশরাফ উদ্দিন জুয়েল ১৯ ভোট পেয়ে সভাপতি ও আজিমুল ইসলাম ২০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অন্যান্যদের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে এস এম সোলায়মান সোহাগ ২০ ভোট, সহ-সভাপতি (১) পদে ফারুক হোসেন সুমন ১২ ভোট, সহ-সভাপতি (২) মাজহারুল ইসলাম ডলার ১৩ ভোট, যুগ্ম সম্পাদক পদে রেদওয়ানুর রহমান বিপ্লব ১৫ ভোট,  সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নাঈমুর রহমান খান ১১ ভোট, অর্থ সম্পাদক পদে আবু হুরায়রা রাসেল ৫ ভোট, ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে কাজী শওকত হোসেন শ্যামল ২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো.

সেলিম মুন্সি এই ফলাফল প্রকাশ করেন। 

নির্বাচন পরিচালনায় অন্যান্য কমিশনারগণ হচ্ছেন সোলায়মান সোহাগ,  সাইফুল ইসলাম, ইমাম হোসেন ডলার ও জান্নাতুল ইসলাম। নির্বাচনী পরিদর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল বাশার,  মজিবুর রহমান এবং বিটিভি 'র সিনিয়র সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম সোহেল। 

১৯৮৭ সালে একদল ক্রীড়ানুরাগী কিশোর ও যুবকদের অনেক চেষ্টার ফসল এই সংগঠনটি। ১৯৯৪ সালে ক্লাবটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন (০৪২৮) করা হয়। এই দীর্ঘ সময় পথচলায় ব্রাইট স্টার ফুটবল,  ক্রিকেট,  ব্যাডমিন্টনসহ অনেক খেলায় অত্র এলাকায় থানা ও জেলা পর্যায়ে অনেক সুনাম অর্জন করেছে। পাশাপাশি সমাজ গঠনে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। 

গত ২০২২ এ আশরাফ উদ্দিন জুয়েলকে সভাপতি  ও আজিমুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যর কমিটির মেয়াদ শেষ হোলে মো. সেলিম মুন্সিকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনি কমিটি করা হয়। এই পরীপেক্ষিতে সরাসরি গোপন ব্যালটে ৯ টি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাইট স্টার ক্লাবের ৩২ জন স্থায়ী সদস্য ভোটের মাধ্যমে এই সদস্যদের মধ্যে থেকেই তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেন। আনন্দঘন ও সৌহার্দ্যপূর্ণ এই নির্বাচনে ক্লাবের নতুন- পুরাতন সকল সদস্য,  শুভাকাঙ্ক্ষী, এলাকার কিশোর,  যুবক, ক্রীড়ানুরাগীসহ এলাকায় মুরুব্বিগণ উপস্থিত ছিলেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব র ইট স ট র ল ইসল ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে সমাজচ্যুতির ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত মাতব্বররা

জামালপুর শহরে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত মাতব্বররা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর রোববার রাতে বসে নতুন সালিশ বৈঠক। এতে সেই মাতব্বররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে বসবাসের অঙ্গীকার করেন। পরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাতটি পরিবারের বিরুদ্ধে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে বসে সালিশ বৈঠক। এতে ঘোষণা করা হয়, ‘মরহুম আজিজুল হক, ইসমাইল হোসেন মৌলভি, মুনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর ও নান্নুর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন বা সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীকেও একঘরে করে দেওয়া হবে।’ পরে মাইকে এলাকাজুড়ে তা প্রচার করা হয়। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরদিন বিকেলে ইসমাইল হোসেন, মুনসুর মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দেন। তারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীরা সালিশ ডেকে একতরফাভাবে মুনসুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে একঘরে করে রাখা হয়েছে।

এই অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রোববার রাত ১০টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে এলাকার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অঙ্গীকার করেছে। অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ