বেশ কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া গেল না। পরে ফোন ধরে জানালেন টানা শুটিংয়ে ব্যস্ত। এই ব্যস্ততা নাকি চলবে ঈদের আগপর্যন্ত। সেভাবেই নাটকের শিডিউল দেওয়া। এমনকি ঈদের পরের শিডিউলও ঠিক করে ফেলছেন। পার্থ জানালেন, ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টায় বুঝে পা ফেলতে চান। যে কারণে গল্পে মনোযোগী হচ্ছেন, বাড়াচ্ছেন কাজের সংখ্যা।

মাস যদি ৬০ দিনে হতো

পার্থর জন্য মাস ৬০ দিনে হলো ভালো হতো। কারণ, সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি চিত্রনাট্য পাচ্ছেন। জানালেন, এমন হয়, অনেক ভালো গল্প, পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করতে মন চায়। কিন্তু শিডিউল না থাকার কারণে কিছু গল্প হাতছাড়া হয়ে যায়। এই অভিনেতা বলেন, ‘এটা আসলে ভাগ্য। যখন ভালো গল্প আসবে, তখন সেই গল্পে কাজ করতে পারব কি না বলা যায় না। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হয়তো দেরি করতে চায় না। আমার ক্যারিয়ারের জন্য এই বছরটা গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমি এক্সপেরিমেন্ট করা যাবে এমন গল্প, নতুন নতুন চরিত্রে মনোযোগ দিচ্ছি। যে গল্পগুলো আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং, নতুন অভিজ্ঞতা, আমার ক্যারিয়ারে ভিন্ন একটা মাত্রা যোগ করবে, সেগুলোকেই শিডিউল দিচ্ছি।’

পাঁচটায় লাঞ্চ

একসময় কাজের জন্য অপেক্ষায় থাকতেন দিনের পর দিন। একটু ব্যস্ততা বাড়লে দু–তিনটি কাজ করার সুযোগ হতো। সেই চিত্র গত বছর থেকে বদলে গেছে। সঙ্গে বদলে গেছে পার্থর ব্যক্তিগত জীবন।

২০২১ সালে নাম লেখান সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’’ ওয়েব সিরিজে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

লাখপুরের রংবাহারি রাম্বুটান

১৯ জুলাই সকাল ১০টা। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল বাজারে গাড়ি থেকে নামলাম। ততক্ষণে ব্যাপারীদের পাইকারি কেনাকাটা শেষ। মালপত্র বেঁধেছেঁদে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। কিন্তু ফুটপাতে তখনো ভিড়। খুচরা ক্রেতারা পছন্দের জিনিস কিনতে দরদাম করছেন। ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লাম, দেখা যাক কী পাওয়া যায়।

কাঁঠালের দোকানে তেমন ভিড় নেই। লটকনের দোকান বেশি, বিক্রিও ভালো। আকার অনুযায়ী দাম। এখানে না এলে জানতামই না, এত বড় আকারের লটকন হতে পারে! এক গৃহস্থ টুকরিতে কলম্বো লেবু নিয়ে বসে আছেন। এই লেবু আকৃতি ও সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে থামতেই হলো। কয়েকটি দোকানে সাজানো হলুদ আর লাল রঙের রাম্বুটান!

দেখতে ফুলের মতো আকর্ষণীয় রঙের এই ফল সবার নজর কাড়ছে। ক্রেতারা দাম জানতে চাইছেন। কেউ কেউ কিনছেনও। জানতে চাইলাম, এই রাম্বুটান কোথা থেকে এল? দোকানির উত্তর শুনে চোখ ছানাবড়া। নরসিংদীর কয়েকটি গ্রামেই নাকি ইদানীং চাষ হচ্ছে রাম্বুটান। দারুণ ব্যাপার। এ খবর জানা ছিল না।

কাছাকাছি দূরত্বে কোনো গ্রামে গেলে কি রাম্বুটানের বাগান দেখতে পাওয়া যাবে? এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা মো. সুজন মিয়া। তিনি জানালেন,Ñকাছেই বেলাব উপজেলার লাখপুর গ্রামে চমৎকার একটি বাগান আছে।

আমরা দ্রুত বাগানের পথ ধরি। বাগানে যেতে যেতে মনে হলোÑ ঘন গাছপালার ছাউনির ভেতর দিয়ে ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছি! এখানকার বেশির ভাগ গাছই লটকনের। বাগানগুলো এতই বড় যে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ভালোভাবে দেখা যায় না।

অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে গেলাম লাখপুর গ্রামে। উয়ারী ও বটেশ্বর–লাগোয়া এই গ্রামে রাম্বুটানের বাগানে গিয়ে চমকে উঠি। বেশ বড় বড় অনেক গাছ। গাছে গাছে দুই রঙের রাম্বুটান। চমৎকার দৃশ্য।

এ রংবাহারি ফল দেখার জন্য সারা দিন অনেক মানুষ ভিড় করেন সেখানে। কেউ কেউ দেখছেন, আবার কিনছেনও। একটু সময় নিয়ে বাগানটি ঘুরে দেখি। ছয়-সাত বছর বয়সী সব গাছই ফলভারে আনত। পাকা ফলগুলো দেখতে রঙের ঝরনাধারার মতো, বহুবর্ণিল। বাগান থেকে তরতাজা কিছু ফল কিনি। মন ভরে ছবি তুলি।

একসময় রাম্বুটান চিনতাম না। ২০০৫ সালে হংকংয়ে বেড়াতে গিয়ে বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান শাহিনের বাসায় প্রথম এ ফল খাই। পরে কুয়ালালামপুর শহরের আশপাশে রাম্বুটানের অনেক গাছ দেখেছি। দুই বছর পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারে গাছভর্তি রাম্বুটান দেখে চমৎকৃত হয়েছিলাম। বীজ থেকে তৈরি চারাগুলো সেখানে প্রথম লাগানো হয় ১৯৯৮ সালে। প্রায় সাত বছর পর গাছগুলোতে ফল আসতে শুরু করে। আকৃতি ও স্বাদের দিক থেকেও ফলগুলো সমমানের।

বাগানে সুদর্শন হলুদ রঙের রাম্বুটান

সম্পর্কিত নিবন্ধ