ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরিকল্পনা জমা দেবে ফ্রান্
Published: 2nd, March 2025 GMT
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে আলোচনার পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ‘সম্ভবত আরও এক বা দুইজন’ যুদ্ধ বন্ধে কিয়েভের সাথে কাজ করবে। এই সম্মত শান্তি পরিকল্পনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করা হবে। রবিবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। এর পরেই জেলেনস্কি যুক্তরাজ্যে ছুটে যান ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে।
স্টারমার বিবিসিকে বলেছেন, “আমি মনে করি আমরা সঠিক দিকে একটি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের এমন একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে আমরা সবাই একসাথে কাজ করতে পারি। কারণ আমাদের তিন বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের স্থায়ী শান্তিতে পৌঁছাতে হবে।”
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পের সঙ্গে ঝড় তুলে লন্ডনে জেলেনস্কি, যুদ্ধের পরিণতি কী
ট্রাম্পের সঙ্গে ‘সিংহের মতো লড়েছেন’ জেলেনস্কি
তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং সম্ভবত আরো এক বা দুইজন, যুদ্ধ বন্ধের পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সাথে কাজ করবে এবং এরপর আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সেই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করব।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫