Samakal:
2025-06-16@08:42:17 GMT

পথেই যখন উড়বে-নামবে গাড়ি!

Published: 2nd, March 2025 GMT

পথেই যখন উড়বে-নামবে গাড়ি!

সুনসান পথ। কালো রঙের বিচিত্র গাড়ি ওই পথে চলতে হুট করেই ‘টেক অফ’ করল শূন্যে। কী, অবাক হয়েছেন! সেটাই তো স্বাভাবিক। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে টপকে আবারও ‘ল্যান্ড’ করল সেই পথে। ভিডিওচিত্রে দেখা এমন দৃশ্য নিছক কোনো কল্পিত ঘটনা নয়, বরং নিকট বাস্তবচিত্র।
গাড়ির এমন দুরন্তপনা দেখে সামনে আসতে পারে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটসের উড়ন্ত গাড়ির দৃশ্যপট। বইয়ের পাতায় ফোর্ড অ্যাংলিয়া দেখানো হলেও বাস্তবে এমন বর্ণনা প্রমাণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলেফ অ্যারোনটিকস। ইতোমধ্যে প্রথম এমন গাড়ি ওড়ানোর পরীক্ষায় ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সংস্থার প্রোটোটাইপ সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।
আলেফের ব্যাটারি পরিচালিত প্রোটোটাইপের নাম আলেফ মডেল ‘জিরো আলট্রালাইট’। গাড়িটি রাস্তায় যেভাবে চলবে, ঠিক সেভাবেই প্রয়োজনে বনেট আর বুটের মধ্যে প্রপেলার সহায়তায় প্রয়োজনে যে কোনো সময়ে উড়তে পারবে ইচ্ছামতো। গাড়িটি ওড়াতে প্রয়োজন পড়বে না রানওয়ে।
দাঁড়িয়ে থেকেই প্রয়োজনে যে কোনো জায়গা থেকে শূন্যে উড়তে পারবে। ওড়ানোর পরীক্ষার বাস্তব ভিডিওচিত্র ধারণ করে এমন সাফল্যকে রাইট ব্রাদার্সের প্রথম বিমান ওড়ানোর সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করেন আলেফ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিম দুখভনি।
অবশ্য কোনো রকম সম্ভাব্য দুর্ঘটনা না ঘটাতে রাস্তাঘাট জনশূন্য করে পরীক্ষা করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার সব দিক নিশ্চিত করেই পরীক্ষা সফল হয়েছে।
২০২৬ সালে প্রাথমিকভাবে দু’জন যাত্রী বসতে পারে এমন আলেফ ‘মডেল এ’ আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্মাতারা। পূর্ণ চার্জে গাড়িটি ২০০ মাইল পথে আর ১১০ মাইল উড়তে সক্ষম বলে জানা গেছে।
উদ্যোক্তারা জানান, বিশেষ মডেলের গাড়িতে থাকবে ‘অটোপাইলট’ সুবিধা। গাড়িটির সম্ভাব্য দাম হতে পারে তিন লাখ ডলার। এরই মধ্যে গাড়িটি পেতে প্রিবুকিং করেছেন তিন হাজারের বেশি আগ্রহী। নির্মাতা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে আলেফ মডেল ‘জেড’ সেডান গাড়ি বাজারে আনবে। সম্ভাব্য ওই গাড়ির মডেলে চারজন বসতে পারবেন। পূর্ণ চার্জে গাড়িটি পথে চলবে ৪০০ মাইল আর উড়বে ২০০ মাইল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়। 

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।

তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।

সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।

জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং, সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই নিজেদের মতামত দেবে। এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এবং এত সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরো দীর্ঘ সময়। তবে, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

আমীর খসরু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐকমত্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐকমত্যের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “ঐকমত্য থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করব, যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।”

তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো— একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ