বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ থেকে সৈয়দ জামিল আহমেদের সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই আলোচনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। কারণ, অভিযোগের তির ছিলো ফারুকীর দিকে। অবশ্য অভিযোগের পাল্টা উত্তরও দিয়েছেন ফারুকী। বলেছেন, ‘জামিল আহমেদের অভিযোগের সবকিছু সত্য নয়, কিছু বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা, আর কিছু তাঁর ব্যক্তিগত হতাশা থেকে আসা।’

সৈয়দ জামিল আহমেদ ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিষয়টির বিয়ে কথা বলেছেন জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। তার মতে, ফারুকী ঠিক আছেন।

আজ সোমবার নিজের ফেসবুকে প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘উপদেষ্টা হিসেবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ঠিক আছেন। অন্ততপক্ষে বালখিল্য আচরণ করছেন না। সংবেদনশীল। কোথায় কি বলতে হবে করতে হবে বোঝেন। সময় তাঁকেই চায়।’

এরপর সেই পোস্টের কমেন্টবক্সে তিনি লিখেছেন, ‘মধ্যপন্থী বা মধ্যপন্থা হলো একটি দৃষ্টিভঙ্গি বা অবস্থান যেটি সামাজিক সাম্যের ভারসাম্য ও সামাজিক স্তরবিন্যাসের একটি নির্দিষ্ট মাত্রাকে গ্রহণযোগ্যতা বা সমর্থন দেয়। এবং এমন রাজনৈতিক পরিবর্তন, যার ফলে সমাজে একটি উল্লেখযোগ্য ডানপন্থী বা বামপন্থী অভিমুখী শক্তিশালী রাজনৈতিক স্থানান্তর হবে, তার বিরোধিতা করে।’

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিল দেশের শিল্পী সমাজ। কেউ রাজপথে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলেছেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও ছিলেন এই দলে। এ আন্দোলনে ফারুকীর মতোই সরব ছিলেন প্রিন্স মাহমুদ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ