খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি, আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার
Published: 3rd, March 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে মাসুদ রানা (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগের কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ভোরে একই উপজেলার শাহবাজপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার মাসুদ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সাহাপাড়া-মুন্সিপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক জানান, বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেন মাসুদ রানা। পরে উপজেলার সাহাপাড়া-মুন্সিপাড়া এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, মাসুদ উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন- এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। বিকেলে তাকে আদালতে মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ব এনপ আওয় ম ল গ গ র প ত র কর উপজ ল র বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।