বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের পিওন পরিচয়ে আশুলিয়া থানার ওসির সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সুমন মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সুমন মিয়া নিজেকে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অফিসের পিওন বলে দাবি করেন। 

জানা গেছে, আজ সুমন আশুলিয়া থানার ওসির রুমে ঢুকে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ওসির বিষয়ে তদন্ত করতে বিএনপি অফিস থেকে তাকে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সুমন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বিএনপি’র নজরে এলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি বিএনপির কেউ নন এবং ভুয়া পরিচয়ে দলের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই যুবক। একই সঙ্গে রুহুল কবির রিজভী আশুলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলুকে ফোন করে প্রতারক সুমনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কিছু অসাধু ব্যক্তি ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করছে, যা মেনে নেওয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা প্রতারকের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, সে (সুমন) একজন প্রতারক। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব যবস থ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ