যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা সহযোগিতা ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ।

আজ বুধবার ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

র‍্যাটক্লিফ বলেন, সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তার ক্ষেত্রে যে বিরতি এসেছে, সেটি কাটিয়ে উঠবো বলে মনে করি। ইউক্রেনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। তবে একই সঙ্গে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্যও কাজ করবো।

হোয়াইট হাউজেরর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে পুনরায় সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন।

ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, যদি আলোচনাগুলো ফলপ্রসূ হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মতো কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তবে প্রেসিডেন্ট সহায়তা পুনর্বিবেচনা করবেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত প্রায় ৮৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের হিসাব অনুযায়ী, মার্কিন কংগ্রেস ও প্রতিরক্ষা বিভাগের বাজেট থেকে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তার বেশিরভাগ অর্থ ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার, ট্যাংক, উপকূল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ