ঈদ উৎসবের কেনাকাটায় নগদ টাকার ঝামেলা এড়িয়ে কার্ড ব্যবহার এখন অনেকের কাছেই পছন্দের শীর্ষে। কারণ, কার্ডে লেনদেন বেশ সহজ, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিয়ে আর শপিং করতে হয় না। বিশেষ করে ব্যাংকগুলোও তাদের গ্রাহকদের কেনাকাটাকে আরো সহজ করতে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা ও ছাড় দেয়।

ঈদ উৎসবের কেনাকাটায় বাড়তি আনন্দ যোগ করছে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি। রমজানজুড়ে পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, লাইফস্টাইল, ফ্যাশন, গ্রোসারি ও অনলাইন কেনাকাটায় প্রিমিয়ার ব্যাংক কার্ডে উপভোগ করুন আকর্ষণীয় সব ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক ও ০% ইএমআইয়ের সুবিধা।

প্রিমিয়ার ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য রয়েছে সিলেক্টেড লাইফস্টাইল ও জুতার ব্র্যান্ডে সর্বোচ্চ ৫০% ছাড়, সিলেক্টেড গ্রোসারি মার্চেন্টে সর্বোচ্চ ২৫০০০ টাকার ইলেক্ট্রনিক ভাউচার।

পাঁচতারকা হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালের রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেলে প্রাইম পার্টনার হিসেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক নিয়ে এসেছে রমজানের বিশেষ আয়োজন। হোটেলটিতে মাসজুড়ে থাকছে বিভিন্ন রকমের আয়োজন এবং সেজে উঠেছে রমজানের সাজসজ্জায়; সঙ্গে গুলশান বেকিং কোম্পানি (জিবিসি) লবি ক্যাফেতে ইফতার বক্স যা শুরু ৬৫০০ টাকা থেকে। বাহার মাল্টি কুইজিন বুফে রেস্টুরেন্টে ইফতার এবং ডিনারে একটি কিনলে একটি ফ্রি থেকে শুরু করে একটি কিনলে দুটি ফ্রি পর্যন্ত অফার প্রিমিয়ার ব্যাংক কার্ডের উপরে, ৯৯৯৯ টাকায়।

এছাড়া সুহুর বুফেতে একটি কিনলে দুটি ফ্রি অফার, ৬২০০ টাকায়।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের সব কার্ডহোল্ডার রমজানে রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেল ছাড়াও, সিক্স সিজন্স, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, লে মেরিডিয়েন, আমারি, ঢাকা রিজেন্সি, হলিডে ইন, লেকশোর হোটেল, রেইন ট্রি, হোটেল সারিনাসহ সারা দেশে বিভিন্ন তারকা হোটেলেই বুফে ইফতার ও ডিনারে ‘একটি কিনলে তিনটি ফ্রি’ পর্যন্ত বুফে অফার পাচ্ছেন।

এছাড়াও প্রিমিয়ার ব্যাংক কার্ড ব্যবহার করে বুখারা, পিজ্জা ইন, বার-বি-কিউ, হাক্কা কিচেন, সী-শেল সহ নির্দিষ্ট রেস্টুরেন্টে মিলবে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।

লাইফস্টাইল পার্টনার শপে ব্যাংকের কার্ডহোল্ডাররা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও, কার্ডহোল্ডাররা গয়নার দোকানে মজুরিতে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। বড় বড় শহরের হোটেল কিংবা রিসোর্টে রুম রেন্টের ওপর ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা।

অফার সম্পর্কে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, “প্রিমিয়ার ব্যাংক বিশেষ উপলক্ষে সবসময় সেরা অফার নিয়ে আসে। রমজান এবং ঈদের অফারগুলোতে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সব ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত থাকায় আমাদের গ্রাহকদের পরিবার ও পরিজনদের নিয়ে এই ঈদ উৎসব উদযাপনকে আরো বর্ণিল করবে। ৪০০ এর বেশি পার্টনার নিয়ে আমাদের অনেক ক্যাটাগরির ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য সবসময় দিয়ে আসছে সর্বোৎকৃষ্ট সুবিধা। আমরা আশা করি, এই অফারগুলো রমজান জুড়ে গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় ও আনন্দময় হবে।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/সুমন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল মানেই তো উত্তেজনার চূড়ান্ত রূপ। আর মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাতালোনিয়ার মন্টজুইকে যা দেখা গেল— তা যেন শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, বরং ছয় গোলের অনির্দেশ্য গল্প। যেখানে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে একসঙ্গে রচনা করল রোমাঞ্চ আর বীরত্বের এক অপূর্ব মহাকাব্য। দুইবার পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে ৩-৩ গোলে সমতা টানল কাতালান জায়ান্টরা।

ম্যাচ শুরুই হলো যেন বজ্রপাত দিয়ে। সময়ের কাঁটায় মিনিটও পেরোয়নি। এর মধ্যেই ইন্টারের মার্কুস তুরাম এক চতুর ব্যাকহিল ফিনিশে বল ঠেলে দেন জালে। সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো কাতালান রক্ষণভাগ। এরপর ২১ মিনিটে কর্নার থেকে ডেনজেল ডামফ্রিসের অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে যেন বার্সার হৃদয়েই ঘা লাগে, ইন্টারের লিড তখন ২-০ গোলে।

তবে ইতিহাস বলে—  বার্সেলোনার যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখনই তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই ধারাতেই, ডানদিক থেকে দুরন্ত ছন্দে এগিয়ে এসে বক্সে ঢুকে বল জালে পাঠালেন কিশোর বিস্ময় লামিনে ইয়ামাল। ইন্টারের দ্বিতীয় গোলের মাত্র তিন মিনিট পর আসে এই গোল, যা এই ম্যাচে বার্সার ফেরার না বলা প্রতিশ্রুতি হয়ে উঠেছিল।

সেই ইয়ামাল পরে আরও একবার প্রায় গোল করে ফেলছিলেন। কিন্তু ভাগ্য মুখ ফিরিয়ে নেয়। বল লাগে পোস্টে। তবে কাতালান আশা তখনও নষ্ট হয়নি। ৩৮ মিনিটে ফেরান তোরেস ডানদিক থেকে আসা পাসে ওয়ান-টাইম ফিনিশে বল জড়ান জালে, ফিরিয়ে আনেন সমতা। ম্যাচ তখন যেন টানটান থ্রিলারে রূপ নেয় এবং শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধে বলের দখলে ও খেলার ছন্দে এগিয়ে থাকলেও ৬৪ মিনিটে আবারও হোঁচট খায় বার্সা। কর্নার থেকে হেডে ডামফ্রিস করেন তার দ্বিতীয় গোল। ইন্টার আবারও এগিয়ে যায়। কিন্তু বার্সা মানেই তো ক্ষণিকের বিশ্রামে আবার অগ্নি হয়ে ওঠা। দ্রুতই আসে জবাব। রাফিনহার দূরপাল্লার গর্জে ওঠা শট প্রথমে লাগে পোস্টে, এরপর ফিরে এসে লেগে যায় গোলরক্ষক ইয়ান সমারের পিঠে, এরপর বল ঢুকে পড়ে জালে। ম্যাচ আবারও ৩-৩। যদিও এটি আত্মঘাতী গোল হিসেবে গণ্য হয়, কাতালানদের জন্য তা যেন নবজন্মের এক চুম্বন।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত দুই দলই তীব্রভাবে চেষ্টা করেছে জয় ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু ভাগ্য সেদিন ছিল ভারসাম্যপন্থী।

এখন সব অপেক্ষা দ্বিতীয় লেগের। আগামী ৬ মে মিলানের ঐতিহাসিক সান সিরো স্টেডিয়ামে লেখা হবে এই নাটকের অন্তিম অঙ্ক। এক ম্যাচ, এক ফলাফল, এক জয়ী— আর সেই জয়ীর জন্য অপেক্ষা করছে মিউনিখের আলো-আড়ম্বরের রাত। ইউরোপীয় ফুটবলের মঞ্চে চূড়ান্ত পরীক্ষার দিন।

সান সিরোর আকাশে হয়তো আবার জ্বলে উঠবে এক নতুন রূপকথার তারা।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র
  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • এবার লন্ডনে পুরস্কার জিতল ‘প্রিয় মালতি’
  • আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে চকলেট