শিগগিরই ঘরে আসছে নতুন অতিথি। তাই কিয়ারা আদভানির বাড়িতে বইছে আনন্দের বন্যা। অভিনেত্রীর এই সুসময়ে দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে অভিনেতা ও নির্মাতা ফারহান আখতারের। এর কারণ একটাই, এ নির্মাতার ‘ডন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা ‘ডন থ্রি’ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কিয়ারা। 

মাতৃত্বের কারণেই এই বলিউড অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। ‘ডন থ্রি’ সিনেমার সবকিছু গুছিয়ে এনেও মূল অভিনেত্রীর এভাবে সরে যাওয়ায় খানিকটা বিপাকে পড়েছেন ফারহান। এই মুহূর্তে কী করবেন, কিয়ারার পরিবর্তে কাকে নিয়ে কাজ করবেন, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে এ নির্মাতাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক সিনেমা হিট হওয়ায় বলিউডের ডাকসাইটে পরিচালক, প্রযোজকদের প্রিয় পাত্রী হয়ে উঠেছেন কিয়ারা আদভানি। সে কারণে পরিচালক ফারহান আখতারের তাঁর ‘ডন থ্রি’ সিনেমার মুখ্য অভিনেত্রীর চরিত্রের জন্য কিয়ারাকে নির্বাচন করেছিলেন। যে চরিত্রের জন্য বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রীর অনেকে পরিচালকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, সেই চরিত্র হাতে পেয়েও অভিনয় করা হয়ে উঠছে না কিয়ারার। কারণ অন্তঃসত্ত্বার এই সময়টা অভিনেত্রী তাঁর পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান।

 তাঁর সিদ্ধান্ত নির্মাতারা সসম্মানের সঙ্গে মেনে নিলেও দুশ্চিন্তায় আছেন, নতুন নায়িকা নির্বাচন নিয়ে। এদিকে ‘টক্সিক’ ও ‘ওয়ার টু’ সিনেমার যে ক’টি দৃশ্যের শুটিং বাকি আছে, তা শেষ করেই অভিনয়ে বিরতি নেবেন বলে জানিয়েছেন কিয়ারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক য় র আদভ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ